ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

বাংলানিউজ-আইইউবি

গণিতের সৃষ্টি, তারুণ্যের প্রযুক্তি

সাব্বিন হাসান, আইসিটি এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১০ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০১২
গণিতের সৃষ্টি, তারুণ্যের প্রযুক্তি

সামাজিক উদ্যোগ থেকেই সফলতা আসে। একেবারেই এমন ভাবনা থেকে অনলাইন সংবাদমাধ্যম বাংলানিউজ এখন এগিয়ে যাচ্ছে।

এতে সঙ্গী হয়েছে ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ (আইইউবি)।

এ দুই ভিন্নধর্মী ও উদ্যোগী প্রতিষ্ঠান মিলে ‘জাতীয় উদ্ভাবনী এবং আন্তঃকলেজ গণিত-২০১২’ প্রতিযোগিতার উদ্যোগ নেয়। ১৫ মার্চ দিনব্যাপী এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। আর দিনশেষে বাংলানিউজের ‘গণিতের সৃষ্টি, তারুণ্যের প্রযুক্তি’ এ বার্তা দিয়েই আয়োজনের সফল সমাপ্তি হয়।

এদিকে দিনের শুরুতেই বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমের এডিটর ইন চিফ আলমগীর হোসেন প্রদর্শনী প্রাঙ্গন পর্যবেক্ষণে এসে সার্বিক উদ্যোগ সম্পর্কে খোঁজখবর নেন। এ সময় আলমগীর হোসেন বলেন, খুদে উদ্ভাবকদের উৎসাহ না দিলে ভালো উদ্ভাবন সামনে আসবে না।

এখন সময়টা অনলাইন প্রজন্মের। তাই এ প্রজন্মকে উৎসাহিত করতে হবে। কাজের জায়গায় সুযোগ তৈরি করে দিতে হবে। এতে মেধাবীরা তাদের বিকাশের সঠিক পথ খুঁজে পাবে। তরুণ উদ্যোগী প্রজন্মকে খুঁজে আনতে বাংলানিউজ ভবিষ্যতেও এ ধরনের সামাজিক উদ্যোগে অংশ নেবে বলে তিনি দৃঢ় আশা ব্যক্ত করেন।

১৫ মার্চ বৃহস্পতিবার ঢাকাস্থ আইইউবির বসুন্ধরা ক্যাম্পাসে জনকল্যাণমূলক উদ্ভাবনী প্রকল্প প্রদর্শনী এবং প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিচারকদের প্রকল্পভিত্তিক গুণগত বিচারে তিনটি দলকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।

এতে সার্টিফিকেট এবং ক্রেস্ট ছাড়াও প্রথমকে ১০ হাজার, দ্বিতীয়কে ৭ হাজার এবং তৃতীয় বিজয়ী দলকে নগদ ৫ হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়া হয়। এ বিভাগে বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজের জন্য আলাদা আলাদা উদ্ভাবনী প্রকল্পকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।

অন্যদিকে আন্তঃকলেজ গণিত প্রতিযোগিতায় কলেজের শিক্ষার্থীরাও অংশগ্রহণ করে। এতে গণিত ও পদার্থ বিজ্ঞানের ওপর প্রশ্ন করা হয়। সাধারণ জ্ঞানেও প্রশ্ন আসে। সাধারণ জ্ঞানের বিষয় ছিল একেবারেই সমসাময়িক। গণিত প্রতিযোগিতা শীর্ষ ১০ বিজয়ীকে নগদ অর্থ, ক্রেস্ট এবং সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়।

জাতীয় উদ্ভাবনী ও আন্তঃকলেজ গণিত প্রতিযোগিতার উপদেষ্টা পর্ষদের প্রধান এবং আইইউবির প্রকৌশল বিভাগের প্রধান অধ্যাপক মোহাম্মদ আনোয়ার বাংলানিউজকে বলেন, এ ধরনের জ্ঞানভিত্তিক আয়োজন সব সময়ই উদীয়মান তরুণদের বিশেষ উৎসাহ দিয়ে থাকে।

এতে শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞান ও গণিতের মাধ্যমে উদ্ভাবনী শক্তিতে মেতে উঠে। আর এর মাধ্যমেই তৈরি হয় নিত্যনতুন এবং বিস্ময়কর সব উদ্ভাবন। আগামীতে এ আয়োজনকে আরও সুবৃহৎ পরিসরে উপস্থাপন করার পরিকল্পনার আছে -এ কথার মধ্য দিয়েই তিনি এবারের আসরের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘোষণা করেন।

বাংলাদেশ সময় ২১১০ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০১২

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।