ঢাকা, বুধবার, ২৩ আশ্বিন ১৪৩১, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৫ রবিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

প্রযুক্তির সঙ্গে শিশুদের ৩৫৩ ঘণ্টা

সিজারাজ জাহান মিমি | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩০০ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০১২
প্রযুক্তির সঙ্গে শিশুদের ৩৫৩ ঘণ্টা

১০ বছর এবং এর কম বয়সী শিশুরা বছরে ৩৫৩ ঘন্টা সময় ব্যয় করে প্রযুক্তিপণ্যে। যুক্তরাজ্যে শিশু বিষয়ক গবেষণার ফলাফলে এমন তথ্য উঠে এসেছে।

গড়ভিত্তিক হিসাবে অধিকাংশ ব্রিটিশ শিশুরাই বাসা বাড়িতে দিনে এক ঘন্টা সময় প্রযুক্তিপণ্য ব্যবহার করে থাকে।
প্রায় ২ হাজার অভিবাবকের অংশগ্রহনে টয় কোম্পানি লিপফোর্জ এই জরিপ পরিচালিত করে। জরিপের ফলাফলের অন্যান্য তথ্যগুলো- বর্তমানে সেখানকার প্রায় দুই তৃতীয়াংশ শিশুর নিজস্ব ক্যামেরা, গেম খেলার উপযোগী মোবাইল এমনকি যাদের ৬ ভাগ শিশুর নিজস্ব ট্যাবলেট যেমন আইপ্যাড আছে।

এছাড়া ৭০ ভাগ শিশু প্রতিদিন তাদের পিতামাতার ল্যাপটপ, কমপিউটারে গেম খেলে এবং ১৬ ভাগ শিশুর নিজস্ব কমপিউটার আছে। প্রায় ৫ শতাংশ অভিবাবকের মন্তব্য, আধুনিক পণ্যসামগ্রী সম্পর্কে তাদের তুলনায় বাচ্চাদের অভিজ্ঞতা বেশী এবং যেগুলো শিশুরা খুব স্বভাবতই গ্রহণ করে। যাদের অর্ধভাগ পরিবারের দাবি, বাসাবাড়িতে প্রযুক্তি ব্যবহারের কারণ পরিবারকে কাছাকাছি করা।

ড. ইয়ান পিয়ারসন একজন ভবিষ্যতবিদ যিনি সমাজের প্রযুক্তি প্রবণতার এ বিষয়ে ভবিষ্যৎবাচ্যে অগ্রগতি এনেছে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রাত্যহিক জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে প্রযুক্তি। যার মধ্যে সংস্কৃতিতে জনপ্রিয় হয়েছে আইপ্যাড। প্রযুক্তি প্রবণ অভিবাবকদের আচরণের পরিবর্তন এবং প্রযুক্তিতে শিশুদের ব্যবহার বৃদ্ধির বিষয়গুলো প্রতিপাদন করেন তিনি।

তার ধারণা, পরবর্তী ১০ বছরে আমরা দেখব ট্যাবলেট হয়ত বা শ্রেণীকক্ষে শিক্ষদানের অন্যতম মাধ্যম হয়ে উঠছে। কেননা কিন্ডলেসে বরাবরই বই প্রতিস্থাপন চলছে এবং বাসা বাড়িতে ক্ষুদে যন্ত্রটি শিক্ষা অর্জনের পছন্দের উপকরণ। এছাড়া শিক্ষা কার্যক্রমে ভিডিও ভাইসরের ব্যবহার সহজবোধ্য হবে। অবশ্য মূল বইপুস্তকের স্থানটি ঠিক থাকবে বলে মনে করেন তিনি।

উল্লেখ্য, জরিপে এর নেতিবাচক দিকগুলোও প্রকাশ পায় কারণ অনেক অভিবাবকের মতে ট্যাবলেট, কিন্ডলেসের মত পণ্যগুলো এ বয়সটার সঙ্গে খাপ খায়না কিন্তু তারা অবাধে ব্যবহার করছে এনিয়ে তারা চিন্তিত।

২৬ ভাগ অভিবাবক খুব উদ্বেগ প্রকাশ করেন শিশুদের অনলাইন দেখাশোনা নিয়ে। কেননা ১০ জনের ১ জন পীড়ন সৃষ্টি করে যেজন্য সাইবার হয়রাণী নিয়ে তারা নিশ্চিন্তিত নয়। কমপক্ষে ৩১ ভাগ অভিবাবকের জোড়াল দাবি, শিশুদের প্রযুক্তির ব্যবহারে সার্বক্ষণিক নজর দিতে হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে তাদের উদ্বেগগুলো যৌক্তিক।

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।