সম্প্রতি কিছু অনলাইন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমকে নিয়ে ভারতে প্রচন্ড উত্তেজনা বিরাজ করছে। ইউজার-জেনারেটেড কনটেন্ট এর অভিযোগ এনে ভারত সরকার আদালতে মামলা দায়ের করে।
অভিযোগকারীদের মতে বিষয়গুলো দেশবিরোধী। কারণ এটি দেশ বিরুদ্ধতা, ঘৃণ বার্তা জন্ম দেওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করে যা জাতিগতভাবে আপত্তিকর, পুরোপুরি ক্ষতিকর, মানহানিকর বলে গণ্য।
ফেসবুকসহ অন্যদের বিবরণ অনুযায়ী, তারা এসব বিষয়বস্তু অপসারণের দায়িত্বভার গ্রহন করে। উল্লেখ্য, আগে একবার বিষয়টি সম্পর্র্কে তাদের জানানো হয়। যেসময় তারা এই দায়িত্ব গ্রহনে অস্বীকার করেন। ব্যাপক ডাটা পর্যবেক্ষণ এবং অপরাধীকে খুজতে অপারগতা প্রকাশ করে।
এ প্রসঙ্গে আরো উঠে আসে, সম্প্রতিকালে সরকার সুনিশ্চিত করেছিল যে সোশ্যাল সাইটগুলোর সেন্সরশীপে কখনও জোরাজুরি করবেনা। কিন্তু অস্পষ্ট এক বার্তায় জানানো হয় কিছু ওয়েবসাইট অবশ্যই নিজ-পর্যবেক্ষণে সমস্যা পরিহার করতে পারবে। কিন্তু আজ ক্ষমতাসীনরা এসব ওয়েব পোর্টালের বিরুদ্ধতা করছে। এরপর কর্তারা সম্ভবত জেলহাজতে পাঠাতে সেই সময়ের মুখোমুখি করবে এমনকি চরম লাঞ্জনা করে জরিমানা করবে। এছাড়া এমন নিয়মের বেড়াজালে ফেলে এসব ওয়েবসাইট বন্ধ করবে অথবা চীনের মত সেন্সর করবে। এমনই শঙ্কা করছে তারা। অনেকের মতে ওতটা চরম পর্যায়ে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছেনা ভারতের।
এদিকে ভারতের অনলাইন জনসংখ্যার সমৃদ্ধ বাজারের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়েছে এফবি ও গুগল। কেবল মোবাইল ইন্টারনেটেই প্রচুর সংখ্যক ব্যবহারকারী বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু সোশ্যাল সাইটগুলোকে অভিযুক্ত করায় আয় বৃদ্ধি নিয়ে ভীষণ উদ্বীগ্ন তারা।