ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

নগদের অস্তিত্ব দেশ ও জনগণের স্বার্থে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে   

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ৪, ২০২২
নগদের অস্তিত্ব দেশ ও জনগণের স্বার্থে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে
  

ঢাকা: ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) নগদ দেশ ও জাতির স্বার্থে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। নগদের সঙ্গে অন্যান্য এমএফএসের চার্জের বিশাল পার্থক্য থাকায় জনগণকে মোট লেন-দেনের হিসেবে বছরে হাজার কোটি টাকারও বেশি অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করতে হয়।

নগদকে ডাক অধিদপ্তরের সেবা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়াটা একটি অসাধারণ উদ্যোগ।
 
তিনি বলেন, অল্প সার্ভিস চার্জে জনগণকে সেবা দিতে নগদের এ অর্জন ডাক অধিদপ্তরের।  

নগদকে এমএফএসে জনগণের অর্থ সাশ্রয়ে নেতৃত্ব দেওয়ার আহ্বান জানান মন্ত্রী।
 
বুধবার (২ নভেম্বর) ঢাকায় ডাকভবনে ২০২১-২২ অর্থবছরের নগদ সেবা থেকে ডাক অধিদপ্তরের আয়ের অর্থ হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ আহ্বান জানান বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায় ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ।
 
ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব মো. খলিলুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. হারুন উর রশীদ, নগদের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভির আহমেদ এবং নগদের প্রধান নির্বাহী সাফায়েত আলম বক্তব্য দেন।

নগদকে তরুণ উদ্যোক্তাদের উদ্ভাবন সমৃদ্ধ একটি এমএফএস বলে উল্লেখ করে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী আরও বলেন, নগদের কেওয়াইসি উদ্ভাবন ছিল অসাধারণ একটি প্রযুক্তি, যা অন্যরা অনুরসরণ করে কেওয়াইসিতে প্রবেশ করেছে। শুরুতে নগদের উদ্ভাবনী ধারণা দেখে নগদের অগ্রযাত্রায় ইতিবাচক ভূমিকা রেখে আসছি এবং ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত থাকবে।
 
মন্ত্রী সৃজনশীল কাজের উৎসাহ যোগানোর প্রয়োজনীয়তা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ উল্লেখ করে বলেন, ২০১৯ সালের ২৬ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমার নগদ অ্যাকাউন্টে ১০ হাজার টাকা পাঠানোর মাধ্যমে নগদ সেবার উদ্বোধন করেন। আমার নগদ অ্যাকাউন্টের এ ব্যালেন্স ধরে রাখার চেষ্টা করব। এজন্য নগদের শুভযাত্রা আমার জন্য বড় সৌভাগ্যের।  
 
ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব নগদ সম্পর্কে ডাক অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট সবারর পরিচ্ছন্ন ধারণার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব দেন এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার মাধ্যমে এ সেবাটির উত্তরোত্তর সফলতা কামনা করেন। ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক নগদের অব্যাহত সফলতার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
 
পরে ২০২১-২২ অর্থবছরের নগদ সেবা থেকে ডাক অধিদপ্তরের আয়ের অর্থ বাবদ চার কোটি ৫০ লাখ ৪৬ হাজার ৬৪৬ টাকার চেক হস্তান্তর করা হয়। ২০১৮-১৯ অর্থবছর থেকে এ নিয়ে ডাক অধিদপ্তর নগদ সেবা থেকে নয় কোটি ১০ লাখ টাকার রাজস্ব আয় করে। এর মধ্যে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে এ খাতে ডাক অধিদপ্তরের মোট প্রাপ্ত টাকার পরিমাণ ছিল সাত লাখ ৯৩ হাজার টাকা। ২০১৯-২০ অর্থ বছরে এক কোটি ১৯ লাখ ২২ হাজার টাকা, ২০২০-২১ অর্থবছরে তিন কোটি ৩১ লাখ ৯৪ হাজার টাকা আয় হয়।
 
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, নগদের দৈনিক সর্বোচ্চ লেনদেন ৯৫৩ কোটি টাকা এবং গ্রাহক সংখ্যা ছয় কোটি ৭০ লাখ। নগদের মাধ্যমে প্রত্যক্ষ কর্মসংস্থান হয়েছে ছয় হাজার ২০১ জনের এবং পরোক্ষ কর্মসংস্থান হয়েছে দুই লাখ ৫৫ হাজার জনের। নগদের মাধ্যমে ২০২১-২২ অর্থবছরে মোট ১৬টি মন্ত্রণালয়ে ও ১৭টি প্রকল্পের এক কোটি ৮৫ লাখ ভাতাভোগীর মধ্যে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা বিতরণ করা হয়। প্রতি হাজার টাকা লেনদেনে এজেন্ট, ডিস্ট্রিবিউটর এবং এমএনও কমিশন বাদে নগদের গ্রস আয় প্রায় ২১ পয়সা। এর মধ্যে ডাক অধিদপ্তর শতকরা ৫১ ভাগের অংশ হিসেবে ১১ পয়সা রাজস্ব পায়। অবশিষ্ট ১০ পয়সা নগদের আয়।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৩১২ ঘণ্টা, নভেম্বর ৪, ২০২২
এমআইএইচ/এসআই
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।