বিশ্বজুড়েই ফেসবুক আজ অবিচ্ছেদ্য। তবে বিশ্বের সর্বাধিক ইন্টারনেট জনসংখ্যার দেশ চীনেই ২০০৯ সালে থেকে ফেসবুকের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
সাংহাই শহরের মাটিতে পা রাখতেই চীনের ফেসবুক ভক্তরা আলোচনা করতে শুরু করেন এবার চীনে ফেসবুক বধ বুঝি উঠছে। তবে এ বিষয়ে ফেসবুকের শীর্ষ মহল কিংবা জুকারবার্গ কেউও কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য দেয়নি।
এ নিয়ে চীনভিত্তিক মাইক্রো ব্লগমাধ্যম সিনাতে চলছে ব্যাপক তোলপাড়। জুকারবার্গের চীন সফরের কারণে ফেসবুক ভক্তরা এমন আশা তো করতেই পারে। চীনা ব্লগলেখক কেলিসিসং জানান, জুকারবার্গ চীনে ভক্তদের কাছে ফেসবুক ফিরে আসার বার্তা।
এ মুহূর্তে ফেসবুকের নিবন্ধিত সদসসংখ্যা ৮০ কোটি ছাড়িয়েছে। বিশ্বের সব দেশেই ফেসবুক জনপ্রিয়। তবে নীতিগত কারণে চীন এবং রাশিয়া ছাড়া বিশ্বের ছয়টি দেশে ফেসবুক ব্যবহারে কড়া নিষেধাজ্ঞা আছে। এর মধ্যে ইন্টারনেট জনসংখ্যার শীর্ষ দেশ চীনকেই সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ।
এ মুহূর্তে দেশটিতে অর্ধকোটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারী আছে। আর এ বিপুল ইন্টারনেট জনসংখ্যার কাছ থেকে বড় অঙ্কের আয় থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে ফেসবুক। সংবাদমাধ্যম ওয়ালস্ট্রিট জার্নালে প্রকাশ, এ মুহূর্তে চীনের অনলাইন বাজার ৫০০ কোটি ডলার অতিক্রম করেছে।
এত বড় বাজার থেকে ফেসবুক বঞ্চিত। এটা মোটেও প্রত্যাশিত নয়। ২০০৯ সাল থেকে চীনে ফেসবুক বন্ধ আছে। রাষ্ট্রের ডিজিটাল তথ্য আর নীতিগত কারণেই এ নিষেধাজ্ঞা বহাল রেখেছে চীন।
তবে জুকারবার্গের সাম্প্রতিক চীন সফরকে ঘিরে চীনজুড়ে বইছে ফেসবুক ফিরে আসার নতুন হাওয়া। বিষয়টি বিশ্লেষকেরাও একেবারে উড়িয়ে দিচ্ছেন না। তবে জুকারবার্গ চীন মিশনে কতটা সফল হবে তা চীনে ফেসবুক আসার ওপরই নির্ভর করছে। তাই অপেক্ষা এখন ফেসবুকের চীন জয়ের।
বাংলাদেশ সময় ১৮১৯ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০১২