তাইওয়ান ঘিরে তৃতীয় দিনের মতো সামরিক মহড়া অব্যাহত রেখেছে চীন। শেষ দিন সোমবার (১০ এপ্রিল) যুদ্ধবিমান ওড়াতে চীন বিমানবাহী রণতরী ব্যবহার করতে পারে।
তাইওয়ান বলেছে, দ্বীপের পূর্ব দিকে একটি যুদ্ধবিমান শনাক্ত করা হয়েছে। চীন বলেছে যে, তাদের বিমানবাহী রণতরী শানডং এই মহড়ায় অংশ নিয়েছে।
গেল সপ্তাহে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং ওয়েন সাইয়ের যুক্তরাষ্ট্র সফরের পর এই অঞ্চলে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। গেল আগস্টে ন্যান্সি পেলোসির সফরের পর যে মহড়া চালানো হয়েছিল, তার চেয়ে এবারের মহড়ার ব্যাপ্তি ততটা নয়।
তাইওয়ান নিজেকে একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র মনে করে। তবে চীন এটিকে নিজের একটি বিচ্ছিন্ন প্রদেশ হিসেবে দেখে, যেটি শেষ পর্যন্ত বেইজিংয়ের নিয়ন্ত্রণে আনা হবে- প্রয়োজনে বল প্রয়োগ করে।
সোমবার তাইওয়ান বলেছে, তারা তার আশপাশের জলসীমায় আরও ৭০টি যুদ্ধবিমান ও ১১টি জাহাজ দেখেছে।
তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত একটি মানচিত্রে দ্বীপের পূর্ব দিকে চারটি জে-১৫ যুদ্ধবিমান দেখা গেছে, যা নির্দেশ করে যে- চীনের সামরিক বাহিনী প্রথমবারের মতো পশ্চিমের পরিবর্তে পূর্ব থেকে হামলার পরিকল্পনা করছে, যেখানে চীনের মূল ভূখণ্ড অবস্থিত।
বিশ্লেষকরা বলেছেন, সম্ভবত যুদ্ধবিমানগুলো চীনের শানডং বিমানবাহী রণতরী থেকে এসেছে। এরকম দুটি বিমানবাহী রণতরীর মধ্যে একটি বর্তমানে তাইওয়ান থেকে প্রায় ৩২০ কিলোমিটার দূরে পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরে মোতায়েন রয়েছে।
চীনা সামরিক বাহিনী সোমবার এক বিবৃতিতে নিশ্চিত করেছে যে, শানডং সোমবারের মহড়ায় অংশ নিয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০২৩
এমএইচএস