মাত্র দুদিনের ব্যবধানে খুন হয়েছেন ছেলে আসাদ ও স্বামী গ্যাংস্টারখ্যাত আতিক আহমেদ। ঠিক এরপরই উত্তর প্রদেশের ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ অপরাধীর তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছেন আতিকের স্ত্রী ৫১ বছর বয়সী শায়িস্তা পরভিন।
গত শনিবার রাতে একটি হাসপাতালের সামনে টিভিতে লাইভে থাকার সময় কথিত গ্যাংস্টার আতিক আহমেদ ও তার ভাইকে হত্যা করা হয়। গ্রেপ্তারের পর পুলিশ তাদের চিকিৎসা করতে হাসপাতালে নিচ্ছিল। এর আগে বৃহস্পতিবার ছেলেকে হত্যা করে উত্তর প্রদেশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স।
স্বামীর খুনের পর থেকেই জল্পনা তৈরি হয়েছিল, শেষকৃত্য সেরে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করতে পারেন শায়িস্তা। কিন্তু তা হয়নি। এখনো পলাতকই রয়েছেন শায়িস্তা।
পুলিশের দাবি, যতবারই স্বামী আতিক এবং দেবর আশরাফ জেলে গিয়েছিলেন, তত বারই তাদের ‘সাম্রাজ্য’ এবং পারিবারিক ব্যবসা সামলানোর দায়িত্ব এসে পড়েছিল শায়িস্তার কাঁধে। বর্তমানে শায়িস্তাকেই আতিকের সেই ‘সাম্রাজ্যের’ সম্রাজ্ঞী বলে মনে করছে উত্তর প্রদেশের পুলিশ।
অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কনস্টেবল মুহম্মদ হারুনের মেয়ে শায়িস্তা তার পরিবারের সঙ্গে প্রয়াগরাজের দামুপুর গ্রামে থাকতেন। প্রয়াগরাজের একটি স্কুল থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় পাশ করার পর পড়াশোনা ছেড়ে দেন। মন দিয়েছিলেন ঘরের কাজ সামলানোর দিকে।
১৯৯৬ সালে আতিককে বিয়ে করেন শায়িস্তা। তার পরই নাকি ধীরে ধীরে অপরাধের জগতে হাত পাকাতে থাকেন তিনি। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। এর মধ্যে প্রতারণা এবং উমেশ পাল খুনের মামলা রয়েছে। এ ছাড়াও অস্ত্র আইনেও একটি মামলা রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
উত্তর প্রদেশের রাজনীতিতেও সক্রিয় যোগ রয়েছে শায়িস্তার। ২০২১ সালে আসাদউদ্দিন ওয়েইসির দল ‘অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন’ (মিম)-এ যোগদান করেন তিনি। পরে ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে যোগ দেন বহুজন সমাজ পার্টি (বিএসপি)-তে।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০২৩
আরএইচ