ইউরোপের অনেকে দেশেই যৌনশিক্ষা বাধ্যতামূলক। তবে ইতালিসহ হাতে গোনা কয়েকটি দেশ যৌনশিক্ষাকে পাঠক্রমভুক্ত করার বিপক্ষে।
১৯৭৫ সালে ইতালিতে যৌনশিক্ষাকে স্কুলের পাঠ্যসূচির অন্তর্ভুক্ত করার প্রথম জোরালো পদক্ষেপটি নেওয়া হয়। সেই থেকে গত ২০২১ সালের আগ পর্যন্ত আরও অন্তত ১৪ বার একই দাবি উঠেছে।
কিন্তু প্রতিবারই সরকার সেই আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে বা আবেদনকারীদের অপেক্ষায় থাকতে বলেছে। ২০২১ সালে স্টেফানিয়া আসারি ইতালির ইতিহাসে ১৬তম বারের মতো এ দাবি রেখেছিলেন সেই সময়কার সরকারের কাছে।
শেষ এই দাবিতেও কোনো পরিবর্তন আসেনি। সরকার পুরোনো সুর টেনেই বলেছে, তাদের পক্ষে সারা দেশে যৌনশিক্ষা বাধ্যতামূলক করা সম্ভব নয়।
ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে ইতালির সঙ্গে আরও আট দেশে যৌনশিক্ষা এখনো পাঠক্রমের বাইরে। দেশগুলো হলো- বুলগেরিয়া, পোল্যান্ড, রোমানিয়া, লিথুয়ানিয়া, হাঙ্গেরি, স্লোভাকিয়া, ক্রোয়েশিয়া ও স্পেন।
ইতালিতে পাঠক্রমে যৌনশিক্ষা অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টি আঞ্চলিক সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর ছেড়ে দেয়া হয়েছে। কিন্তু বিশ্লেষকেরা মনে করেন, কেন্দ্রীয় সরকার সারা দেশে যৌনশিক্ষা বাধ্যতামূলক না করলে কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন কখনো আসবে না।
তারা মনে করেন, যৌনশিক্ষার বিষয়টিকে পরিবার এবং বাবা-মায়েদের ওপর ছেড়ে দেওয়া কোনো সমাধান নয়।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০২৪
আরএইচ