ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

আল জাজিরার বরাত দিয়ে

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি আগ্রাসনের বর্তমান পরিস্থিতি...

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১২৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০২৩
ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি আগ্রাসনের বর্তমান পরিস্থিতি...

ফিলিস্তিনের স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে সাতটা। গাজা উপত্যকার মানুষ রাত কাটিয়ে দিনের আলো দেখবেন।

কিন্তু সেটি তারা পারছেন না। কেননা, দিনটি অন্যান্য সময়ের চেয়ে ভয়াবহ; গত সাতদিন ধরেই উপত্যকার মানুষ সকাল দেখছেন কিন্তু শ্বেত-শুভ্র নয়; বরং কালো ধোঁয়া-বারুদের গন্ধ সমেত।

রোববার (১৫ অক্টোবর) বাংলাদেশ সময় সকাল। এ সকালেও দখলদার ইসরায়েলিরা গাজায় বিমান হামলা করে যাচ্ছে। উপত্যকার লোকজন নিজের চেয়ে পরিবার-স্বজন-বন্ধুদের নিয়ে ভয় পাচ্ছেন। তারা সাহসী, কিন্তু শিশুদের জন্য ভয় পায়।

ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় আরও হামলা চালাবে। তারা সবে স্থল আক্রমণ শুরু করেছে। এই অবস্থায় গাজাবাসীকে তারা সতর্ক করেছে। দখলদাররা বলেছে, গাজার উত্তরাঞ্চল থেকে ১ লাখ ১০ হাজার স্থানীয়কে সরে যেতে হবে। আক্রমণ জোরদার হবে বলে প্রকাশ করায় নিরীহ নাগরিকরা গাজার দক্ষিণে পালিয়ে যাচ্ছে।

ফিলিস্তিনের স্থানীয় সময় সকাল ৭টায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র জোনাথন কনরিকাস একটি ভিডিও পোস্ট করেন। এতে তাকে বলতে শোনা যায়, দক্ষিণে যান, আমাদের সতর্কবার্তা শুনুন। আমরা বলছি যে এখানে (উত্তর গাজায়) উল্লেখযোগ্য সামরিক কার্যকলাপ হতে চলেছে। আমরা বেসামরিক নাগরিকদের তাদের নিজেদের নিরাপত্তার জন্য সরে যেতে আহ্বান জানাচ্ছি।
 
* ইসরায়েলিরা বলেছে, তারা গাজার বিরুদ্ধে আকাশ, স্থল ও সমুদ্রপথে ব্যাপক এবং বিস্তৃত আক্রমণ চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। এ অবস্থায় তাদের পাতে অস্ত্র তুলে দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। হামাস-ইসরায়েলের সংঘাত শুরুর পরপরই বন্ধুর অঞ্চলের উপকূলে বিমানবাহী রণতরী পাঠিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। সংঘাতের বর্তমান পর্যায়ে এসে ইসরায়েলকে আরও একটি বিমানবাহী রণতরী দিয়েছে মার্কিন প্রশাসন। যুদ্ধজাহাজটি ইসরায়েলের উপকূলে যাচ্ছে।

* গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনিসে ইসরায়েলি বিমান হামলার খবর পাওয়া গেছে। বিমানবাহী হামলাকারীরা গাজার চিকিৎসা ব্যবস্থা ও একটি ওষুধের গুদামে হামলা চালিয়েছে।

* গত শনিবার ইসরায়েলে হামলা চালায় হামাস। এরপর আধুনিক প্রযুক্তির অস্ত্রে সমৃদ্ধ ইহুদি গোষ্ঠী ফিলিস্তিনের গাজায় আগ্রাসন শুরু করে। ধারাবাহিকভাবে শত শত বিমান হামলা চালানো হয়েছে গাজা উপত্যকায়। এসব হামলায় নিহত হয়েছেন ২ হাজার ২১৫ ফিলিস্তিনি; আহতের সংখ্যা ৮ হাজার ৭১৪। নিহতদের মধ্যে ৭০০ ফিলিস্তিনি শিশু রয়েছে।

অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে নিহত হয়েছেন ৫০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি।

ইসরায়েলে হামলায় ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১ হাজার ৩০০ জন; আহত ৩ হাজার ৪০০।

উল্লেখ্য, উত্তর গাজা থেকে ফিলিস্তিনিরা পালিয়ে আসার সময় হামলার ঘটনা ঘটে। বেসামরিক ফিলিস্তিনের কাফেলায় হামলাটি করে ইসরায়েল। কিন্তু দেশটি এ দাবি উড়িয়ে দেয়। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র জোনাথন কনরিকাস এ ব্যাপারে বলেন, ঘটনাটি বিস্ময়কর কোনো দুর্ঘটনা হতে পারে।

বাংলাদেশ সময়: ১১২০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০২৩
এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।