মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরাইল গাজায় জাতিসংঘ এবং আরব সরকারগুলো সমর্থিত একটি অন্তর্বর্তী প্রশাসন গঠনের কথা ভাবছে, শনিবার সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাত দিয়ে এই খবর জানিয়েছে ব্লুমবার্গ।
গাজায় অন্তর্বর্তী প্রশাসন গঠনের আলোচনার ব্যপারে ওয়াকিবহাল সূত্র ব্লুমবার্গকে জানিয়েছে, পরিকল্পনাটি এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে এবং হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের স্থল অভিযান কতটা সফল হয় তার উপর নির্ভর করছে।
এই পরিকল্পনা কার্যকর করতে হামাসকে ক্ষমতা থেকে সরাতে হবে এবং আঞ্চলিক আরব রাষ্ট্রগুলোর সমর্থন প্রয়োজন হবে, যা আদায় করা কঠিন হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
আরব দেশগুলোকে এই পরিকল্পনায় একিভূত করার বিষয়ে মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক সিআইএ-র প্রাক্তন সিনিয়র বিশ্লেষক উইলিয়াম উশার ব্লুমবার্গকে বলেন, আরব রাষ্ট্রগুলো যেভাবে একে অপরের সঙ্গে কাজ করে এবং ঝুঁকি গ্রহণ করে সেই প্রক্রিয়ায় একটি বড় পরিবর্তন প্রয়োজন হবে। পাশাপাশি ইসরায়েলের পক্ষ থেকেও বিশ্বাস স্থাপন করতে হবে যা এই মুহূর্তে খুব কমই রয়েছে।
৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলে আকস্মিক আক্রমণ করলে, হাজার হাজার ইসরায়েলি নিহত ও আহত হওয়ার পর, নেতানিয়াহু হামাসকে ‘চূর্ণ ও ধ্বংস’ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
শুক্রবার ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট হামাসের সঙ্গে যুদ্ধের তিন ধাপের রূপরেখা দিয়েছেন। প্রথম ধাপে আকাশপথে বোমাবর্ষণ এবং স্থল অভিযান। তারপর গাজায় হামাসের ঘাটি গুলো নির্মূলে অভিযান চালানো হবে। শেষ ধাপে গাজা উপত্যকায় জীবনধারণের জন্য ইসরায়েলি নির্ভরতা ব্যতিরেকে একটি নতুন ‘নিরাপত্তা বাস্তবতা’ প্রতিষ্ঠার প্রয়োজন পড়বে বলে জানান তিনি।
এদিকে ইসরায়েলি বিরোধীদলীয় নেতা ইয়ার ল্যাপিড পরামর্শ দিয়েছেন, সংঘাত শেষ হওয়ার পরে গাজার জন্য সর্বোত্তম সমাধান হবে এটিকে পশ্চিম তীর-ভিত্তিক ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণে ফিরিয়ে দেওয়া।
২০০৫ সালে দ্বিতীয় ইন্তিফাদা বা প্রতিরোধ আন্দোলনের পর গাজা থেকে অবৈধ বসতি সরিয়ে নেয় ইসরায়েল। ২০০৬ সালে নির্বাচনে জয়ী হয় হামাস, তবে নির্বাচনে বেশি আসন পেয়েও ক্ষমতা পায়নি তারা। ফিলিস্তিনের প্রধান রাজনৈতিক দল ফাতাহ এবং পশ্চিমারা হামাসকে পশ্চিম তীর থেকে সরিয়ে দেয়। ফলে ফিলিস্তিনের অভ্যন্তরীণ দুই রাজনৈতিক দলের মধ্যে কোন্দল শুরু হয়। ২০০৭ সালে গাজার ক্ষমতা চলে যায় হামাসের হাতে। এর পর থেকে গাজায় আর নির্বাচন হয়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০২৩
এমএম