ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার পথে যাওয়া ত্রাণবাহী নৌযানের বহরকে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না বলে ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েল। তেলআবিবের অভিযোগ, এই বহরটি হামাস নিয়ন্ত্রিত এবং সংগঠনটিকে সহায়তা প্রদানের উদ্দেশ্যেই এটি পাঠানো হয়েছে।
ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ফ্লোটিলার যাত্রীদের প্রকৃত লক্ষ্য যদি মানবিক সহায়তা পৌঁছে দেওয়া হয়, তবে তাদের নৌযানগুলোকে আশকেলন বন্দরে ভিড়তে হবে। সেখান থেকে সমন্বিতভাবে দ্রুত গাজায় সাহায্য পাঠানো হবে।
অপরদিকে, গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা আয়োজকদের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, এই বহর সাধারণ মানুষ, মানবাধিকারকর্মী, চিকিৎসক, শিল্পী, ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ, আইনজীবী ও নাবিকদের সমন্বয়ে গঠিত। আয়োজকরা দাবি করেছেন, এই উদ্যোগের উদ্দেশ্য ইসরায়েলের অবৈধ অবরোধ ভাঙা। বর্তমানে গাজামুখী নৌযান সংখ্যা ৫১।
গত মাসে জাতিসংঘ সমর্থিত একটি সংস্থা জানিয়েছে, গাজায় দুর্ভিক্ষ শুরু হয়েছে। জাতিসংঘের মানবিক প্রধান সরাসরি দায়ী করেছেন ইসরায়েলের ‘পদ্ধতিগত বাধা সৃষ্টিকে’। তবে ইসরায়েল এই প্রতিবেদনের তথ্য অস্বীকার করে ‘মিথ্যা’ আখ্যা দিয়েছে।
এর আগে এই বছরের জুনে গাজায় মানবিক সহায়তা বহনকারী একটি নৌযান ইসরায়েলি বাহিনী আটক করেছিল। সেই নৌযানে থাকা ১২ জন কর্মীর মধ্যে ছিলেন সুইডিশ পরিবেশকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ। তাদের আটক করা হয়েছিল।
এমজে