ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী সংগঠন হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর যুদ্ধবিরতি চলছে। দুই দফায় টানা ছয়দিনের এ বিরতি শেষ হবে বুধবার (২৯ নভেম্বর)।
ইহুদি কর্তৃত্ববাদী সরকার জানিয়েছে, হামাস যতদিন ধরে জিম্মিদের মুক্তি, ততদিন যুদ্ধবিরতি বলবৎ থাকবে। এরপর কি আবার হামলা চালাবে ইসরায়েল?
এ বিষয়টি খোলাসা করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। নিজ বক্তব্যে তিনি তার মূল তিনটি লক্ষ্য অটুট রাখার ঘোষণা দিয়েছেন।
কি সেই তিনটি লক্ষ্য- এক. হামাসকে নির্মূল করা; দুই. ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্ত করে আনা; তিন. গাজা ইসরায়েলের জন্য আর কখনো হুমকি হবে না নিশ্চিত করা।
বুধবার এক ভিডিওবার্তায় এ লক্ষ্য ফের মনে করিয়ে দেন নেতানিয়াহু। তিনি বলেন, যুদ্ধের শুরুতে, আমি তিনটি লক্ষ্য ঠিক করেছিলাম। সেগুলো এখনো অুটট।
তিনি আরও বলেন, গত সপ্তাহে আমরা খুব বড় একটি অর্জন পাই। অনেক জিম্মি বাড়ি ফিরে এসেছেন। অথচ, এক সপ্তাহ আগেও এটিকে কল্পনা মনে হতো। কিন্তু আমরা এটি অর্জন করেছি।
নেতানিয়াহু বলেন, গত কয়েকদিন ধরে আমি একটি প্রশ্ন শুনছি। জিম্মিরা সবাই ফিরে এলে ইসরায়েল কি লড়াইয়ে ফিরবে? স্পষ্টভাবে আমার উত্তর হলো হ্যাঁ। লক্ষ্য অর্জন না হওয়া পর্যন্ত আমরা লড়াইয়ে ফিরে যাব না- তা হতে পারে না। এ সুযোগ নেই। এটি আমার পলিসি। পুরো মন্ত্রীসভা, সরকার, সেনা সাধারণ মানুষ এটির পেছনে আছে। আর এটিই আমরা করব।
গত ৭ অক্টোবর থেকে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর গাজায় প্রতিনিয়ত হামলা চালিয়েছে। যুদ্ধবিরতি হওয়ার পরও সেনারা কয়েকজন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। দেড়মাস ধরে
ইহুদি কর্তৃত্ববাদীরা গাজায় যা ঘটিয়েছে, সেটি যুদ্ধাপরাধ হিসেবে বিবেচিত হওয়ার কথা। কিন্তু কোনো কারণে, এসব ঘটনা সে আওতায় পড়ছে না। বিশ্বের নানা প্রান্তের নানা স্তরের মানুষ এ দাবি করে ইসরায়েলের বিচার চাইছে। কিন্তু বিশ্বনেতারা এ ব্যাপারে চুপ।
ইসরায়েল আবার গাজায় নির্মমতা শুরু করলে হামাস প্রতিরোধ শুরু করবে বলে নিশ্চিত করেছে। কিন্তু এসবের ভবিষ্যৎ কী হবে, তা রয়েছে গেছে প্রশ্নের ভেতরেই।
সূত্র: আল জাজিরা
বাংলাদেশ সময়: ২১৪০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০২৩
এমজে