দীর্ঘ এক দশকের মিশনের পর রোববার মালি থেকে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীদের প্রত্যাহার শেষ হলো।
২০১৩ সালে মালিতে সশস্ত্র বিদ্রোহের পর জাতিসংঘ ‘মিনুসমা’ নামে এ মিশন শুরু করে।
জাতিসংঘ মিশনের প্রধান বলেছেন, এটি অনেক কিছু করেছে কিন্তু প্রত্যাশার চেয়ে কম হয়েছে। এ মিশনে ৩১০ শান্তিরক্ষী নিহত হন। ‘মিনুসমা’লেবাননের পর জাতিসংঘের দ্বিতীয় ভয়াবহ প্রাণঘাতী মিশন।
গত জুনে মালি জাতিসংঘকে তার ১২ হাজার শান্তিরক্ষীকে প্রত্যাহারের আহ্বান করে। পরে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে এ মিশন প্রত্যাহারের পক্ষে ভোটের মাধ্যমে পাস হয়।
জাতিসংঘের কর্মীরা কয়েক মাস ধরে পর্যায়ক্রমে মালি থেকে চলে যেতে শুরু করেন। তাদের মালি থেকে সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের জন্য ৩১ ডিসেম্বর সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়।
গত শুক্রবার স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, সময়সীমার আগে উত্তর টিমবুক্টু অঞ্চলে শান্তিরক্ষীদের শেষ ও প্রধান ক্যাম্পের নিয়ন্ত্রণ মালি সরকারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। কিন্তু জাতিসংঘ মালিতে সশস্ত্র গোষ্ঠীর উপস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন।
জাতিসংঘের মিশনের প্রধান এল-ঘাসিম ওয়ান বিবৃতিতে বলেছেন, আমাদের যা করতে বলা হয়েছিল এবং আমরা করতে পেরেছি। তবে তার মধ্যে কিছু ব্যবধান ছিল। আমরা অনেক কিছু করেছি কিন্তু তা প্রত্যাশার নিচে। আমাদের আরও অনেক কিছু করার ছিল।
গত সেপ্টেম্বরে সাহেল নিরাপত্তা চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে জান্তা নিয়ন্ত্রিত পশ্চিম আফ্রিকার তিন দেশ মালি, নাইজার ও বুরকিনা ফাসো।
মালির মতো, নাইজার এবং বুরকিনা ফাসো ফ্রান্সের সঙ্গে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক ছিন্ন করে এবং রাশিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হচ্ছে। ফরাসি বাহিনী এবং কূটনীতিকরা এখন তিনটি দেশ ছেড়ে গেছে।
মালিতে জাতিসংঘের মিশন ১০ বছর আগে শুরু হয়েছিল। তখন বিচ্ছিন্নতাবাদী বিদ্রোহী এবং ইসলামপন্থি যোদ্ধারা একত্র হয়ে একটি পৃথক রাষ্ট্র গঠনের প্রচেষ্টায় উত্তর মালি দখল করে নেয়। ফ্রান্স বিদ্রোহ দমন করার জন্য সৈন্য পাঠায়।
২০২০ এবং ২০২১ সালে দুটি অভ্যুত্থানের পর মালি সামরিক জান্তার দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। দেশটির উত্তর ও পূর্বের বেশিরভাগ অংশের নিয়ন্ত্রণ জিহাদি বিদ্রোহীদের হাতে।
সম্প্রতি বৃহত্তর সাহারার বিশাল এলাকা দখলে নিয়েছে ইসলামিক স্টেট।
সূত্র: বিবিসি
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০২৩
জেএইচ