দলের প্রতিষ্ঠাতা কারাবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের আহ্বানে রোববার শক্তি জানান দিতে দেশব্যাপী সমাবেশ ও জনসভা করবে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)।
গত ৯ মে এর ক্র্যাকডাউনের পর প্রথমবারের মতো দলটি এ সভা-সমাবেশের আয়োজন করে।
দলের কেন্দ্রীয় তথ্য সম্পাদক ড. রওফ হাসান বলেন, আমরা দলের টিকিটধারীদের দুপুর ২টায় বের হয়ে নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় সমাবেশ ও জনসভা করার সুস্পষ্ট নির্দেশনা দিয়েছি। তারা ভোটারদের কাছে ভোট প্রার্থনা করবেন এবং একটি বার্তা দেবেন পিটিআই কাউকে তার স্থান দখল করতে দেবে না।
দলটি রোববার পাকিস্তানের গুরুত্বপূর্ণ সমস্যাগুলোসহ ১৫৮ পৃষ্ঠার নির্বাচনী ইশতেহারও ঘোষণা করবে।
ডন জানিয়েছে, এ সপ্তাহের শুরুতে ইমরান খান সব টিকিটধারীদের রোববার সারাদেশে রাজপথে নেমে আসার নির্দেশ দেন। এ সময় যারা সমাবেশ করবে না তাদের টিকিট বাতিল করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
পরে ইমরান খানের বোন গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গেও কথা বলেন এবং গণমাধ্যমের মাধ্যমে দলীয় কর্মী ও টিকিটধারীদের কাছে বার্তা পৌঁছে দেন।
ইমরান খানের এমন ঘোষণায় বেশ কয়েকজন টিকিটধারীর মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়, কারণ তারা তাদের গ্রেপ্তার এড়াতে বিভিন্ন স্থানে লুকিয়ে ছিলেন। রোববার তাদের বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হবে বলে আশঙ্কা করছেন তারা।
তবে দলের কেন্দ্রীয় তথ্য সম্পাদক ড. রওফ হাসান বলেন, গ্রেপ্তারের ভয় উপেক্ষা করে সারাদেশে সমাবেশ করার জন্য সব নেতাকে বার্তা দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, যাদের গ্রেপ্তার করা হতে পারে, আমরা বিশ্বাস করি এটি তাদের নির্বাচনী প্রচারে প্রভাব ফেলবে না। প্রকৃতপক্ষে, এ গ্রেপ্তারের পর সহানুভূতির কারণে তারা আরও বেশি ভোট পেতে পারে। ভোটাররা পিটিআই-এর সঙ্গে যা ঘটছে তা পর্যবেক্ষণ করছেন। এ বিষয়ে আমরা একটি ভিডিও বার্তাও প্রকাশ করেছি।
একটি প্রশ্নের জবাবে হাসান বলেন, যেহেতু ১৪৪ ধারা জারি করা হয়নি, অন্যান্য দল জনসভা করছে, পিটিআই কর্মীদের গ্রেপ্তার করা হতে পারে।
গত বছরের ৯ মে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট থেকে ইমরান খানকে গ্রেপ্তারের পর পিটিআই কর্মীরা দেশজুড়ে বিক্ষোভ করে। এ বিক্ষোভ দাঙ্গায় রূপান্তরিত হয়, এ সময় কিছু উত্তেজিত জনতাকে সামরিক স্থাপনায় আক্রমণ করতে দেখা যায়।
শনিবার পিটিআই টিকিটধারীরা একটি ভার্চুয়াল সম্মেলন করেছেন এবং জনগণকে তাদের পক্ষে তাদের ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০২৪
জেএইচ