প্রথম কোনো অর্থোডক্স খ্রিস্টান দেশ হিসেবে গ্রিস সমলিঙ্গের বিয়েতে বৈধতা দিল। তবে গির্জার পাশাপাশি কিছু রাজনীতিবিদ এতে বিরোধিতা করেন।
বৃহস্পতিবার দেশটির পার্লামেন্ট সমলিঙ্গের বিয়ের প্রস্তাবটি পাস করে। ১৭৬ আইনপ্রণেতা প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেন। আর বিপক্ষে ছিলেন ৭৬ জন। দুজন ভোট দেওয়া থেকে বিরত ছিলেন এবং ৪৬ জন উপস্থিত ছিলেন না।
৩০০ সদস্যের পার্লামেন্টে প্রস্তাবটি পাসের জন্য সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রয়োজন ছিল।
কয়েক সপ্তাহ ধরে জনসাধারণের প্রতিক্রিয়ার পাশাপাশি দুদিনের বিতর্ক শেষে প্রস্তাবটি নিয়ে ভোট হয়। এ প্রস্তাব পাস হওয়ার ফলে সমলিঙ্গের দম্পতিরা সন্তানও দত্তক নিতে পারবেন।
প্রস্তাব পাসের পর সমলিঙ্গের বিয়ের পক্ষে থাকা লোকেরা রাজধানী অ্যাথেন্সের সড়কে উদযাপন ও উল্লাস করেন।
অনেকে আবার বিরোধিতাও করেন। তারা ব্যানার, ক্রস চিহ্ন ধরে, প্রার্থনা করে এবং বাইবেলের অনুচ্ছেদগুলো পড়ে প্রতিবাদ জানান।
বিলটি পাসে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকোস মিৎসোতাকিস। তার নিজের পার্টি থেকেই এতে বিরোধিতা করা হয়। তবে অন্যান্য দলের রাজনীতিবিদরা ভোটে অংশ নেন।
তিনি ভোটের আগে আইনপ্রণেতাদের উদ্দেশে বলেন, অগোচরে থাকা লোকেরা অবশেষে আমাদের চারপাশে দৃশ্যমান হবেন। অনেক শিশু অবশেষে তাদের সঠিক জায়গা খুঁজে পাবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২৪
আরএইচ