মিয়ানমারের অন্তরীণ নেতা অং সান সু চির ইয়াঙ্গুনের পৈত্রিক বাড়ির নিলাম হয় বুধবার (২০ মার্চ)। কিন্তু তাতে অংশ নিতে আসেনি কেউ।
স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, প্রায় দুই একর জায়গার ওপর ইয়াঙ্গুনের ইনিয়ে লেকের ওপর নির্মিত বাড়িটি কিনতে কেউ আসেননি। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে এ নিলাম হয়।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, কেউ আসেননি, তাই নিলামের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা চলে গেছেন।
সু চির ভাই অং সান উয়ের সঙ্গে তার দীর্ঘদিনের বিরোধ বাড়িটি নিয়ে। ১৯৪৭ সালে সু চির বাবা মিয়ানমারের স্বাধীনতার নেতা জেনারেল অং সান নিহত হবার পর তার মা খিন কি ছেলে-মেয়ের নামে বাড়িটি দিয়ে দেন।
২০০০ সালে অং সান উ বাড়িটির অংশ পেতে আদালতে মামলা করেন। আদালত ২০১৬ সালে সম্পত্তিটি দুই ভাই-বোনের নামে সমানভাবে ভাগ করার রায় দেন।
অং সান উ বাড়ি বিক্রি করে অর্থ ভাগাভাগি করার জন্য এরপর বেশ কয়েকবার আদালতে যান। কিন্তু আদালতে তা গ্রাহ্য হচ্ছিল না৷
অবশেষে ২০২১ সালে মিলিটারি সু চিকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে আটক করার পর আদালত উয়ের বিশেষ আপিলের পরিপ্রেক্ষিতে নিলামের অনুমতি দেন।
নোবেলজয়ী সু চি এখন নানা অপরাধে ২৭ বছরের জেল খাটছেন। তাকে কোথায় রাখা হয়েছে তা জানানো হয়নি।
তিনি ব্রিটেন থেকে মিয়ানমার ফেরার পর ইনিয়ে লেকের পাড়ের বাড়িটিতেই থাকতেন। এমনকি ১৫ বছর ধরে তিনি এ বাড়িতেই অন্তরীণ ছিলেন।
২০২০ সালের নির্বাচনে সু চির দল জেতার পর ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে মিয়ানমার সেনাবাহিনী এক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে। তারা সু চিসহ তার দল এনএলডির আরও কয়েকজন শীর্ষ নেতাকে আটক করে।
ডয়চে ভেলে অবলম্বনে
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৩ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০২৪
আরএইচ