নবনির্বাচিত মার্কিন প্রসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে তার একটি সাক্ষাতের আয়োজন করা হচ্ছে।
তবে এই সাক্ষাৎ কবে হবে সে ব্যাপারে তিনি কোনো সময়সীমা উল্লেখ করেননি।
যদিও রাশিয়ান সংবাদ সংস্থা তাসকে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে সাক্ষাৎকারের জন্য অনুরোধ করেনি।
ট্রাম্প ২০ জানুয়ারি দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই ইউক্রেনে যুদ্ধের অবসান আলোচনা করার অঙ্গীকার করেছেন। তিনি কিয়েভকে মার্কিন সামরিক ও আর্থিক সহায়তা চালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।
বৃহস্পতিবার ট্রাম্প বলেছেন, রাষ্ট্রপতি পুতিন সাক্ষাৎ করতে চান। তিনি এটি প্রকাশ্যেও বলেছেন এবং আমাদের এই যুদ্ধটি শেষ করতে হবে। এটি একটি রক্তক্ষয়ী বিপর্যয়।
প্রাক্তন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা এবং মার্কিন সামরিক বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল কিথ কেলগকে ইউক্রেন ও রাশিয়ার বিশেষ দূত হিসেবে মনোনীত করেছেন ট্রাম্প। কেলগ গত বছরের এপ্রিল মাসে একটি গবেষণা পত্রে একটি কর্মপ্রক্রিয়া বর্ণনা করেছেন যেখানে কীভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান ঘটাতে পারে।
পত্রটিতে তিনি প্রস্তাব করেছেন, ইউক্রেনকে শুধুমাত্র তখনই আরও মার্কিন সহায়তা পাওয়া উচিত যদি তারা মস্কোর সাথে শান্তি আলোচনায় অংশগ্রহণ করে। যদি মস্কো অংশগ্রহণ অস্বীকার করে, তাহলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ইউক্রেনের সহায়তা চালিয়ে যেতে হবে বলেও প্রস্তাব করা হয়েছে ওই পত্রটিতে।
নভেম্বরে ট্রাম্পের নির্বাচনি বিজয়ের পরে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, তিনি বিশ্বাস করেন ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ায় যুদ্ধটি অন্যথায় যত সময় লাগতো তার চেয়ে তাড়াতাড়ি শেষ হবে।
তাছাড়া তাদের দুজনের মধ্যে একটি ‘গঠনমূলক ফোনালাপ’ হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। যদিও ট্রাম্প রাশিয়ার সঙ্গে সম্ভাব্য আলোচনার বিষয়ে কোনো দাবি জানিয়েছেন কিনা তা জানাননি।
সূত্র: বিবিসি
বাংলাদেশ সময়: ১২৪৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০২৫
এমএম