যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক আরোপ ও কানাডাকে অঙ্গরাজ্য করতে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হুমকি- এ দুয়ে চাপে আছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী পদে থাকা জাস্টিন ট্রুডো। এদিকে তার এ পদে থাকার সময়ও ফুরিয়ে আসছে।
আগামী ২৪ মার্চের মধ্যে ক্ষমতাসীন লিবারেল পার্টির ক্ষমতা নেবেন নতুন একজন। এরমধ্যে নিজের প্রধানমন্ত্রী পদ ছাড়বেন জাস্টিন ট্রুডো। ছাড়বেন পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউজ আব কমন্সে লিবারেল পার্টির দলনেতার পদও। এমন ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
এসব নিয়েই গত ৬ মার্চ বিদায়ী ভাষণ দেন দীর্ঘ এক দশক ধরে কানাডার প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতায় থাকা ৫৩ বছর বয়সী ট্রুডো। ভাষণ দিতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন তিনি। কান্নাভেজা কণ্ঠে জানান নিজের অর্জন, ব্যর্থতা ও আক্ষেপের কথা। বলেন, সারা জীবন কানাডার মানুষের জন্য কাজ করেছি। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেষ দিন পর্যন্ত কানাডাবাসীকে হারতে দেব না।
ট্রুডো আরও বলেন, আমি একজন যোদ্ধা। লড়াই থেকে পিছু হটার মানুষ নই। তবে, কানাডার স্বার্থে যেটি ভালো সেটিই করব। প্রতিদিনই আমি কানাডাকে আগে রাখি; যাতে আমার পেছনে মানুষের সমর্থন থাকে। এই কারণেই আমি আপনাদের সবাইকে বলতে এসেছি, আমরা আপনাদের পেয়েছি। এই সরকারের শেষ দিনগুলোয়, আমরা আজ এবং ভবিষ্যতে কানাডিয়ানদের হতাশ করব না।
লিবারেল পার্টির নতুন নেতা ক্ষমতা হাতে নেওয়ার আগ পর্যন্ত পার্লামেন্টের অধিবেশন স্থগিত ঘোষণা করেছেন জাস্টিন ট্রুডো। উত্তরসূরি দায়িত্ব না নেওয়া পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী হিসাবে তিনি নিজেই দায়িত্ব পালন করবেন।
চলতি বছর অক্টোবরে অনুষ্ঠিত হবে কানাডার জাতীয় নির্বাচন। কঠিন সময়ে কানাডাবাসী যেন এক থাকে সে বিষয়টিও দেশবাসীকে মনে করিয়ে দেন ট্রুডো।
২০২৪ সালে লিবারেল পার্টিতে অভ্যন্তরীণ মতবিরোধ দেখা দেয়। মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, জনস্বাস্থ্যের অব্যবস্থাপনাসহ বিভিন্ন কারণে ক্রমশ জনপ্রিয়তা হ্রাস পায় ট্রুডোর। এসব আমলে নিয়ে গত ৭ জানুয়ারি পদত্যাগের ঘোষণা দেন তিনি। এর মধ্যেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক আরোপ ও কানাডাকে অঙ্গরাজ্য করার ঘোষণা মরার ওপর খাড়ার ঘাঁ হয়ে দাঁড়ায়। যদিও দুই দেশই তাদের শুল্কযুদ্ধ আপাতত স্থগিত করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৫ ঘণ্টা, মার্চ ৮, ২০২৫
এসএস/এমজে