রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, তিনি ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতির ধারণার সঙ্গে একমত। তবে এই যুদ্ধবিরতির ধরন নিয়ে ‘প্রশ্ন’ রয়ে গেছে।
সৌদি আরবের জেদ্দায় হওয়া বৈঠক শেষে যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে রাজি ইউক্রেন। বিষয়টি নিয়ে নিয়ে মুখ খুললেন পুতিন। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি যুদ্ধবিরতি নিয়ে পুতিনের প্রতিক্রিয়া জানানোর বিষয়টিকে ‘চালাকি’ বলে ব্যাখ্যা করেন।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার তেল, গ্যাস ও ব্যাংকিং খাতে নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
বৃহস্পতিবার মস্কোয় এক সংবাদ সম্মেলনে পুতিন বলেন, যুদ্ধবিরতির ধারণাটি সঠিক—এবং আমরা এটি সমর্থন করি—তবে কিছু প্রশ্ন রয়েছে, যা আমাদের আলোচনা করতে হবে।
পুতিন বলেন, যুদ্ধবিরতি এমন হতে হবে যা ‘টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠা করবে এবং এই সংকটের মূল কারণগুলো দূর করবে। ’
তিনি বলেন, ‘আমাদের আমেরিকান সহকর্মী ও অংশীদারদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে হবে। হয়তো আমি ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনে কথা বলব। ’
পুতিন আরও বলেন, ‘ইউক্রেনের জন্য ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছানো ভালো হবে। ’
‘আমরা এর পক্ষে, তবে কিছু সূক্ষ্ম বিষয় রয়েছে। ’
রুশ কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন, যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফের সঙ্গে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পুতিনের বৈঠকের কথা ছিল। এদিনই উইটকফ সেদিনই মস্কো পৌঁছান।
বৈঠকটি আসলে অনুষ্ঠিত হয়েছিল কি না, তা স্পষ্ট নয়। শুক্রবার, রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম এয়ার ট্রাফিক পর্যবেক্ষণকারী ওয়েবসাইট ফ্লাইটরাডারের উদ্ধৃতি দিয়ে জানায়, যে উড়োজাহাজে স্টিভ উইটকফের ফেরার কথা, তা মস্কো ছেড়ে গিয়েছে।
তবে মস্কো ও ওয়াশিংটন এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০২৫
আরএইচ