বিয়ের উপহারসামগ্রী হিসেবে আসে পার্সেল। আর সেই পার্সেলের ভেতরে ছিল প্রাণঘাতী বোমা।
ঘটনাটি ঘটে ভারতের ওড়িশার বোলাঙ্গির জেলার পাটনাগড় শহরে সাত বছর আগে। সেই ঘটনায় করা হত্যা মামলার প্রধান আসামিকে সম্প্রতি যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে ওই রাজ্যের এক আদালত।
মামলার বাদীপক্ষের যুক্তি শুনে আদালত মন্তব্য করেন, এটি ছিল একটি ‘ঘৃণ্য’ অপরাধ। তবে আদালতের মতে, এটি ‘সবচেয়ে বিরল ও ভয়াবহ’ ধরনের মামলা নয়, যার জন্য মৃত্যুদণ্ড প্রযোজ্য। তাই আদালত আসামিকে মৃত্যুদণ্ড না দিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দেন।
আসামির নাম পুঞ্জিলাল মেহের। বহুচর্চিত মামলাটি ‘ওয়েডিং বম্ব’ (বিয়ে বোমা) হত্যা মামলা নামে পরিচিত।
পাটনাগড় শহরে ২০১৮ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি বিয়ে হয় সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার সৌম্য শেখর সাহু ও রিমার। বিয়ের পাঁচদিন পর উপহারের নাম করে পার্সেলে করে পাঠানো এক বোমা। নবদম্পতি ওই পার্সেল খোলামাত্রই বিস্ফোরণ হয়।
এতে সৌম্য শেখর সাহু ও তার দাদি জেমামণি সাহুর মৃত্যু হয় এবং সৌম্যর স্ত্রী রিমা গুরুতর আহত হন।
অভিযুক্ত পুঞ্জিলাল মেহের ওই পরিবারের পূর্বপরিচিত ছিলেন। নিহত যুবকের মা সংযুক্তা সাহুর সাবেক সহকর্মী ছিলেন তিনি। কলেজের এক সাবেক অধ্যক্ষ ছিলেন পুঞ্জিলাল। তার বয়স এখন ৫৬ বছর।
মামলার তদন্তকারীরা জানান, পুঞ্জিলাল পেশাগত দ্বন্দ্বের কারণে দীর্ঘদিন ধরে সংযুক্তা সাহুর ওপর ক্ষুব্ধ ছিলেন। এক পর্যায়ে তিরি পরিকল্পনা করে এই পার্সেল বোমা হামলা চালান। তিনি ভুয়া নাম ও ঠিকানা ব্যবহার করে রায়পুর থেকে বোমাটি কুরিয়ার করেন। এ কাজের জন্য তিনি এমন একটি কুরিয়ার সার্ভিস বেছে নেন যেখানে সিসিটিভি বা পার্সেল স্ক্যানিং ছিল না।
সূত্র: বিবিসি
এসএএইচ