নেতানিয়াহু সরকারের বিরুদ্ধে সরব হচ্ছে ইসরায়েলিরাই। গাজায় ফের হামলা চালানোয় সরকারের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি জনসাধারণকে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিবাদ করার আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির বিরোধীদলীয় নেতা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইয়ার লাপিড।
এক্স হ্যান্ডলে একটি পোস্টে লাপিড লেখেন, পুরো জাতিকে এক হয়ে বলতে হবে: যথেষ্ট হয়েছে! তিনি সবাইকে পথে নেমে আসার আহ্বান জানান।
তিনি লেখেন, নেতানিয়াহুর ওপর থেকে ইসরায়েল আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। বাস্তবেও তা দেখা গেছে। ১৮ মার্চ তেল আবিবে হাজার হাজার ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারী পথে নেমে বিক্ষোভ করে। তারা হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তি সম্পন্ন করে বাকি ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি নিশ্চিত করতে নেতানিয়াহু সরকারের কাছে দাবি জানায়।
তবে নেতানিয়াহু কখনোই চূড়ান্ত যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছাতে চাননি, বরং সরকারের ওপর নিজের ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য কাজ করেছেন। হামাসের পলিট ব্যুরোর শীর্ষ গণমাধ্যম উপদেষ্টা সংবাদমাধ্যম আল মায়াদিনকে এমন কথা জানান।
স্থায়ী যুদ্ধবিরতি অর্জনের জন্য পরিকল্পিত চুক্তির কাঠামো ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ ইচ্ছা করে ভেঙে ফেলার পর নতুন হামলা গাজায় আবারো ইসরায়েলের যুদ্ধ শুরুর ইঙ্গিত দেয়।
হামাসের ওই নেতা আরও বলেন, নেতানিয়াহু গাজার বিরুদ্ধে আগ্রাসন আবার শুরু করার মূল্যে হলেও তার সরকার টিকিয়ে রাখতে চান। তিনি সেই ব্যবস্থাও করে ফেলেছেন। বর্তমানে ইসরায়েলি পার্লামেন্ট নেসেটে তার দৃঢ় সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে। এর অর্থ হলো, অনাস্থা ভোটে তার সরকার ভেঙে যাওয়ার বা বাজেট পাস না হওয়ার কোনো শঙ্কা নেই।
এমন পরিস্থিতি তৈরি করার জন্য নেসেটের সদস্য ইতামার বেন-গভিরকে তার আগের পদ অর্থাৎ অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তামন্ত্রী হিসেবে ফেরানো হচ্ছে। তাকে পুনর্বহালের জন্য সর্বসম্মত ভোট হয়েছে। এর অর্থ হলো, গাজা ইস্যুতে বর্তমান ইসরায়েলি সরকারের অবস্থান আরও কঠোর হবে। বেন-গভিরের ইসরায়েলি সরকার ছেড়ে যাওয়ার কারণ ছিল, তিনি যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রথম ধাপও চাননি।
এই মুহূর্তে, ইসরায়েলি সরকারের কাছে পূর্ণ যুদ্ধবিরতি চুক্তির অস্তিত্ব নেই। তারা বলছে, হামাসকে অবশ্যই সব জিম্মিকে ফেরত দিতে হবে। সেইসঙ্গে গোষ্ঠীটিকেও আত্মসমর্পণ করতে হবে। ফলে এটি আর কেবল জিম্মি ইস্যু নয়, বরং হামাসের অস্তিত্ব নির্মূল করাই ইসরায়েলি সরকারের লক্ষ্য। বেন-গভির যতক্ষণ সরকারে থাকবেন, ততক্ষণ তিনি ইসরায়েলের এই অবস্থান নিশ্চিত করবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০০ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০২৫
এমএইচডি/আরএইচ