ঢাকা, শুক্রবার, ৬ চৈত্র ১৪৩১, ২১ মার্চ ২০২৫, ২০ রমজান ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

গাজা নিয়ে হাল ছাড়েনি কাতার-মিশর

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৫ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০২৫
গাজা নিয়ে হাল ছাড়েনি কাতার-মিশর

ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী সংগঠন হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যকার যুদ্ধ থামাতে মরিয়া মিশর ও কাতার। দেশ দুটি এর আগেও দুই পক্ষের মধ্যে সমঝোতার চেষ্টা করেছিল।

নতুন করে হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতির জন্য মিশর ও কাতারের দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী বদর আবদেলাত্তি এবং শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুল রহমান আল থানি ফোনালাপ করেছেন।

বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) দুই নেতার মধ্যে ফোনালাপ হয় বলে জানিয়েছে মিশরের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

আল জাজিরা জানিয়েছে, গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তি পুনরুজ্জীবিত করা ও এর তিনটি পর্যায় বাস্তবায়নের প্রচেষ্টা নিয়ে দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলোচনা করেছেন। মিশরের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে এমনই বলা হয়েছে। ওই দুই শীর্ষ কূটনীতিক আরব নেতৃত্বাধীন গাজা পুনর্গঠন পরিকল্পনা এগিয়ে নেওয়ার উপায়গুলোও অনুসন্ধান করেছেন।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, গাজা ও ইসরায়েলে বাড়তে থাকা উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণে কাতার এবং মিশরের মধ্যে সমন্বয় অব্যাহত রাখার গুরুত্ব নিয়ে দুই মন্ত্রী একমত হয়েছেন। সংঘাতের চূড়ান্ত সমাধান হিসেবে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে দীর্ঘমেয়াদী আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা আনবে, এমন রাজনৈতিক নিষ্পত্তির কথা দুই দেশই ভাবছে। তার জন্য একসঙ্গে কাজ করার বিষয়ে দুই মন্ত্রী একমত হয়েছেন।

গাজায় এর আগে ইসরায়েলের ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের পর এই মাসের শুরুতে আরব রাষ্ট্রগুলো মিশরের গাজা পুনর্গঠন পরিকল্পনা গ্রহণ করে। গত ৪ মার্চ মঙ্গলবার রাজধানী কায়রোয় আরব লীগের শীর্ষ সম্মেলন আয়োজনের সময় মিশর তাদের পরিকল্পনা প্রকাশ করে।

পরিকল্পনাটি গাজা নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরিকল্পনার বিকল্প হিসেবে সামনে আনা হয়। ট্রাম্পের প্ল্যানে গাজা উপত্যকাকে জনশূন্য করে মার্কিন নিয়ন্ত্রণে স্থানটির ‘উন্নয়ন’ করার কথা বলা হয়। আরব দেশগুলো ওই পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান করে। সমালোচকরা পরিকল্পনাটিকে জাতিগত নির্মূল বলে অভিহিত করেন। মিশরের পরিকল্পনার অধীনে, গাজার ফিলিস্তিনি জনগোষ্ঠীকে ওই অঞ্চল ছেড়ে যেতে বাধ্য করার কথা নেই।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১৫ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০২৫
এমএইচডি/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।