কলকাতা: ভারতে অবৈধভাবে বসবাসের অভিযোগে গত শনিবার গুজরাট রাজ্যের সুরাটের চান্ডোলা লেক এলাকা থেকে শতাধিক বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করেছিল স্থানীয় পুলিশ। এবার তাদের বসতবাড়ি ভেঙে ফেলার কাজ শুরু করেছে গুজরাট প্রসাশন।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) সকালে ২০০০ পুলিশ সদস্য মোতায়েন করে অবৈধ স্থাপনাগুলো ভেঙে ফেলার কাজ শুরু করেছে আমেদাবাদ মিউনিসিপাল কর্পোরেশন (এএমসি)। এ কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে ৫০টির বেশি জেসিবি, শতাধিক কর্মচারী ও নিরাপত্তারক্ষী।
এ বিষয়ে আমেদাবাদের যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) শারদ সিংহল জানিয়েছেন, চান্ডোলা লেক পার্শ্ববর্তী সিয়াসতনগর বাংলাভাস এলাকায় সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশি নাগরিকরা বসবাস করে।
তিনি জানান, এর আগে ২০০৯ সালে উচ্ছেদ অভিযান চলেছিল। তারপরেও অবৈধভাবে এই স্থাপনাগুলি নির্মাণ করা হয়। সাম্প্রতিক এক জরিপে আমেদাবাদ মিউনিসিপাল কর্পোরেশন জানতে পারে যে, সরকারি জমিতে এই অবৈধ স্থাপনাগুলো নির্মাণ করা হয়েছে। আজ সেগুলো ভেঙে ফেলা হচ্ছে।
এই অভিযানকে কেন্দ্র করে যাতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি না ঘটে, সেদিকে লক্ষ্য রেখে পুলিশি বন্দোবস্ত রাখা হয়েছে। ৫০টি জেসিবি কাজ করছে। পাশাপাশি দুই হাজারের মতো পুলিশ সদস্য মোতায়েন রাখা হয়েছে। এখনও গুজরাটজুড়ে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের সন্ধানে ধরপাকড় চলছে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে সোমাবারও ৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে স্থানীয় ওমরগাম পুলিশ। এদের মধ্যে ৬ জন পুরুষ এবং ১ জন নারী রয়েছেন। অঞ্চলটির পুলিশ সুপার করণরাজ বাঘেলা জানিয়েছেন, গ্রেপ্তাররা প্রথমে বাংলাদেশ থেকে নেপালে চলে যান। এরপর নেপাল থেকে অবৈধভাবে পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ করেন, সেখান থেকে গুজরাটে আসেন।
গত ২৬ এপ্রিল সকাল থেকেই গুজরাটের আমেদাবাদ ও সুরাটে অভিযান চালায় পুলিশ। সেখানে প্রায় হাজারের অধিক বাংলাদেশিকে আটক করেছিল গুজরাট পুলিশ। জানা যায়, তারা সবাই গুজরাট রাজ্যের আমেদাবাদ এবং সুরাটে দীর্ঘদিন অবৈধভাবে বসবাস করছিলেন।
প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে প্রাণঘাতী হামলার পর একের পর এক সন্দেহভাজনদের বাড়ি গুঁড়িয়ে দিচ্ছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ৯টি সন্দেহভাজনের বাড়ি ধ্বংস করা হয়।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে বলা হয়, গত শনিবার (২৭ এপ্রিল) গভীর রাতে কাশ্মীরের বান্দিপোরা এবং ত্রালে অভিযান চালায় ভারতীয় সেনাবাহিনী। লস্কর-ই-তৈয়বা সংগঠনের সদস্য সন্দেহে দুই বাড়িতে অভিযান চালিয়ে সেগুলো বিস্ফোরক দিয়ে উড়িয়ে দেওয়া হয়। বান্দিপোরার সন্দেহভাজনের নাম জামিল আহমেদ, আর ত্রালে অভিযুক্তের নাম আমির নাজির।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, পহেলগাঁওয়ে হামলার পর স্থানীয় সন্দেহভাজনদের একটি তালিকা তৈরি করেছে সেনাবাহিনী। সেই তালিকা ধরে একের পর এক বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১১ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৯, ২০২৫
ভিএস/এমজেএফ