ভারতের একটি আদালতে জামিন আবেদনের শুনানির সময় অভিযুক্ত ‘গ্যাংস্টার’কে গ্রেপ্তারের কারণ জানাতে পারেনি পুলিশ। যে কারণে ওই অভিযুক্তের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত।
সম্প্রতি দিল্লির ওই আদালতে এ রায় শোনান বিচারক। অভিযুক্তের নাম আতাউর রেহমান। তাকে ‘গ্যাংস্টার’ অভিহিত করা হয়। ২০২৩ সালে তিহার কারাগারের ভেতরে প্রতিদ্বন্দ্বী গ্যাংস্টার প্রিন্স তেওয়াটিয়া হত্যায় অভিযুক্ত ছিলেন তিনি।
হিন্দুস্তান টাইমসের খবর, আতাউরের জামিন আবেদনের শুনানিকালে পুলিশকে গ্রেপ্তারের কারণ জানাতে জোর দেন আদালত। কিন্তু মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) পুলিশ হেফাজত রিমান্ড শুনানির সময় ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে গ্রেপ্তারি স্মারক জমা দেননি এবং গ্রেপ্তারের কারণগুলো পর্যাপ্তভাবে জানানো হয়েছে কিনা তাও নির্দিষ্ট করতে ব্যর্থ হন ম্যাজিস্ট্রেট।
এতে আদালত হতাশা প্রকাশ করেন। আদালতের মতে, অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের কারণ জানানো হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করার জন্য এই পর্যায়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এ বিষয়ে আতাউর রেহমানের আইনজীবী বলেন, জামিন চাওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ হলো, অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের কারণ সম্পর্কে পুলিশ বা জেল কর্মকর্তারা অবহিত করেননি।
আদালত উল্লেখ করেছেন যে, এটি আরও ভয়াবহ যে তদন্তকারী সংস্থা বা ম্যাজিস্ট্রেট কেউই আইন মেনে চলার বা আইনি প্রয়োজনীয়তা পূরণের কোনো চেষ্টা করেননি। যেমন গ্রেপ্তারের কারণ উল্লেখ করা বা আদেশে সেগুলি সম্পর্কে কোনো আলোচনা অন্তর্ভুক্ত করা।
বিষয়টিকে দুঃখজনক জানিয়ে পাতিয়ালা হাউস কোর্টের অতিরিক্ত দায়রা জজ (এএসজে) সুমিত দাস বলেন, এতে সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘন করা হয়েছে।
বিচারক সুমিত দাস আরও বলেন, ম্যাজিস্ট্রেট তার আদেশ দেওয়ার সময় আইনের শাসনের সম্পূর্ণ অবমাননা করেছেন এবং সেই সময়ে অভিযুক্তের আইনজীবী, যিনি কোনোভাবেই তার আইনি বাধ্যবাধকতাকে অর্থবহ করে তোলেননি।
পুলিশের দাবি, আতাউর রেহমান দক্ষিণ দিল্লিতে একটি গ্যাংয়ের নেতৃত্ব দেন। তার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি খুনের মামলা রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে ২০১৮ সালে বিজেপি কাউন্সিলরের ভাইয়ের হত্যাকাণ্ড।
২০২১ সালে পুলিশ এনকাউন্টারে পায়ে গুলিবিদ্ধ হন আতাউর। এরপর দিল্লি পুলিশের স্পেশাল ফোর্স তাকে গ্রেপ্তার করে। নিহত প্রিন্স তেওয়াটিয়া আতাউরের অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন, তার গ্যাং দক্ষিণ দিল্লিতেও প্রভাব বিস্তার করেছিল।
এসএএইচ