ইসরায়েল ইরানের বেশ কয়েকটি পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনায় বিমান হামলা চালিয়েছে। আলোচিত হামলাগুলোর একটি ছিল ইরানের মধ্যাঞ্চলীয় শহর ইস্পাহানে অবস্থিত পারমাণবিক কেন্দ্রে।
আজ (শনিবার) সেই হামলার বিষয়ে নিশ্চিত করেছে আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থা (আইএইএ)। খবর বিবিসির।
সংস্থাটি জানায়, ইসরায়েলের হামলায় ইস্পাহানের পারমাণবিক স্থাপনার অন্তত চারটি গুরুত্বপূর্ণ ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব ভবনের মধ্যে রয়েছে ইউরেনিয়াম রূপান্তর কেন্দ্র এবং জ্বালানি পাত তৈরির কারখানা—যেগুলো ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
এই ক্ষয়ক্ষতির ফলে ইরানের পারমাণবিক কার্যক্রমে বড় ধরনের প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে ‘ভয়’ কেন?
ইরান বরাবরই দাবি করে আসছে, তার পারমাণবিক কর্মসূচি সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে পরিচালিত হচ্ছে। এসব কেন্দ্র গবেষণা ও জ্বালানি উৎপাদনের কাজে ব্যবহৃত হয়।
তবে ইসরায়েল ও পশ্চিমা বিশ্বের বহু দেশের দাবি, ইরান গোপনে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির চেষ্টা করছে। সেই সন্দেহ থেকেই ইসরায়েল এই হামলা চালিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আইএইএ আরও জানিয়েছে, ইরানের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক কেন্দ্র নাতানজেও হামলা হয়েছে। তবে ওই স্থাপনায় হামলার পর আশপাশের এলাকায় তেজস্ক্রিয় বিকিরণ ছড়িয়ে পড়ার মতো কোনো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। ফলে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক কিছুটা কমেছে।
ইসরায়েলের হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, তারা আরও কঠিন প্রতিশোধ নিতে প্রস্তুত। অন্যদিকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, তার দেশ ইরানে হামলা চালিয়েই যাবে।
আরএইচ