এমনটা শোনা যাচ্ছে যে, মার্কিন সামরিক বাহিনী দেশ থেকে কয়েকটি বি-২ স্টেলথ বোমারু বিমান সরিয়ে নিয়েছে। কিন্তু রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন ট্রাম্প এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছাননি।
জর্জটাউনের গভার্নমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক মেহরান কামরাভা আল জাজিরাকে জানিয়েছেন, ট্রাম্প তার সমর্থকদের কাছ থেকে হামলা না করার চাপ পাচ্ছেন, আবার রিপাবলিকান দলের একাংশ তার ওপর হামলার জন্য চাপ প্রয়োগ করছে। তিনি বলেন, ট্রাম্প তার সামরিক উপদেষ্টাদের কথা খুব গুরুত্ব দিয়ে শুনছেন।
ইরান হুঁশিয়ারি দিয়েছে, যদি ওয়াশিংটন হামলা করে, তবে ইরান সব বিকল্প বিবেচনায় নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাবে। এই হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের মস্তিষ্কে প্রভাব ফেলছে, কারণ ওই অঞ্চলে অনেক মার্কিন সামরিক ঘাঁটি রয়েছে।
কিন্তু মেহরান কামরাভা মনে করেন, বাস্তবে ইরান হয়তো মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে সরাসরি হামলা চালাবে না। তিনি বলেন, অতিরঞ্জিতভাবে অনেক বড় কথা বলা হয়। তবে বাস্তবে ইরান সম্ভবত আমেরিকান ঘাঁটিতে আক্রমণ করবে না। কারণ, এতে ট্রাম্পের প্রতি আমেরিকান জনগণের সমর্থন বেড়ে যাবে এবং ইরানের জন্য সেটি বিপজ্জনক হবে।
তিনি আরও বলেছেন, ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যকার সংঘাতটি দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে। এই যুদ্ধে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন সাধারণ নাগরিকরা, সেনাবাহিনী নয়। তিনি বলেন, ইরান ও ইসরায়েল লাগাতার লড়াই চালিয়ে যেতে পারে, কিন্তু দ্রুত বা সহজ বিজয় হবে না, যা ইসরায়েলি সেনারা আশা করেছিল।
ত ১৩ জুন ইরানে হামলা শুরু করে ইসরায়েল। ইরানও ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে পাল্টা জবাব দেয়। সেই থেকে দুই দেশের মধ্যে সংঘাত চলছে। যুক্তরাষ্ট্র শুরু থেকেই বলে আসছে তারা ইরানে হামলায় ইসরায়েলের সঙ্গে জড়িত নয়।
কদিন আগেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টাদের ইরানে হামলার পরিকল্পনায় সম্মতি দেওয়ার কথা জানান। তবে ট্রাম্প এখনো চূড়ান্ত নির্দেশ দেননি এটা দেখার জন্য যে, তেহরান তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি থেকে সরে আসে কি না।
আরএইচ