একটি ছাড়া ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’র সব নৌযান আটক করেছে ইসরায়েল। ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ‘কোনো নৌযানই সক্রিয় যুদ্ধক্ষেত্রে প্রবেশ করতে বা আইনসম্মত নৌ-অবরোধ ভাঙতে সফল হয়নি।
‘সব যাত্রী নিরাপদ ও সুস্থ আছেন। তাদের নিরাপদে ইসরায়েলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, সেখান থেকে তাদের ইউরোপে ফেরত পাঠানো হবে’, ইসরায়েলি মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে।
মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, এখনো একটি নৌযান যাত্রাপথে রয়েছে। যদি এটি যুদ্ধক্ষেত্রে প্রবেশ করতে ও অবরোধ ভাঙতে চেষ্টা করে, তবে সেটিও আটক করা হবে।
ইসরায়েলি বাহিনী ইতোমধ্যে প্রায় সব নৌযানে উঠে নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। এগুলো গাজায় ইসরায়েলের অবরোধ ভাঙার চেষ্টা করছিল। এই নৌবহরকে ফিলিস্তিনি উপকূলে সবচেয়ে বড় সমুদ্রপথের সহায়তা মিশনের একটি হিসেবে দেখা হচ্ছিল।
৪৪টি বেসামরিক নৌযান ও প্রায় ৫০০ জন অধিকারকর্মী নিয়ে যাত্রা শুরু করা সুমুদ ফ্লোটিলায় বুধবার রাতে ইসরায়েলি বাহিনী হস্তক্ষেপ করা শুরু করে। আটক অংশগ্রহণকারীদের ইসরায়েলে নিয়ে যাওয়া হয়। বৃহস্পতিবারও অভিযান চলতে থাকে এবং স্থানীয় সময় দুপুরে ইসরায়েলি সেনারা ঘোষণা করেন, ‘একটি ছাড়া সব নৌযান আটক করা হয়েছে’।
এর আগে ইসরায়েল ঘোষণা করেছিল, গাজামুখী ফ্লোটিলাকে থামাতে যা কিছু করা প্রয়োজন তারা তা করবে। তাদের দাবি, ফ্লোটিলায় অংশগ্রহণকারীরা ‘আইনসম্মত নৌ-অবরোধ’ ভাঙার চেষ্টা করছেন, যা আন্তর্জাতিক আইনবিরোধী।
২০০৭ সালে হামাস গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন মাত্রায় ইসরায়েল গাজায় অবরোধ চালিয়ে আসছে। তখন থেকে ফিলিস্তিনিরা কার্যত গাজার ভেতরেই বন্দি হয়ে আছেন। খাদ্য, পণ্য ও ত্রাণসামগ্রীর প্রবেশ কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে ইসরায়েল।
সুমুদ ফ্লোটিলায় অংশগ্রহণকারী আটক ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন পরিবেশকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ, বার্সেলোনার সাবেক মেয়র আদা কোলাউ এবং ইউরোপীয় পার্লামেন্ট সদস্য রিমা হাসান।
সূত্র: আল জাজিরা
এমজেএফ