কাম্পালা: উগান্ডায় হামলার দায় স্বীকার করেছে সোমালিয়ার আল কায়েদা প্রভাবিত জঙ্গী সংগঠন শেবাব। সোমবার সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিসুতে সংগঠনটির একজন মুখপাত্র এ হামলার দায় স্বীকার করেন।
শেবাব এর মুখপাত্র আলি মোহাম্মদ রেজ বলেন, “আমরা এই হামলার পেছনে আছি, কারণ আমরা তাদের সঙ্গে যুদ্ধের ময়দানে আছি। ” তিনি আরও বলেন, “মানুষ হত্যার কাজ আমরা অব্যাহত রাখব। উগান্ডাবাসীদের বিরুদ্ধে এটা আমাদের আত্মরক্ষার হামলা। তারা আমাদের দেশে এসে মানুষ হত্যা করছে। এটা তাদের কাজের পাল্টা জবাব। ”
উল্লেখ্য, উগান্ডা ও বুরুন্দি আফ্রিকান ইউনিয়নে সেনা সরবরাহ করে থাকে সোমালিয়ায় শেবাবের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য। সোমালিয়ায় সেনা পাঠানোর বিরুদ্ধে গত মাসে শেবাব এর একজন শীর্ষ নেতা অডিও বার্তায় উগান্ডা ও বুরুন্দির উদ্দেশ্যে হুমকি দিয়েছিলেন।
সোমবার কাম্পালায় দুটি বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় এ পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৭৪ জন। কাম্পালার একটি খেলার স্থানে ও একটি রেস্তঁরায় এ বোমাগুলি বিস্ফোরিত হয়। বিস্ফোরণের সময় এসব স্থানে লোকজন জড়ো হয়ে বিশ্বকাপ ফুটবলের ফাইনাল খেলা দেখছিলেন। এ ঘটনায় দেশটিতে বিশ্বকাপের আনন্দ মাটি হয়ে যায় এবং বিশ্বজুড়ে নিন্দা জানানো হয়।
১৯৯৮ সালে পূর্ব আফ্রিকার কেনিয়া ও তানজানিয়ার মার্কিন দূতাবাসে আল কায়েদার হামলার পর এটিই সবচেয়ে ভয়াবহ আক্রমণ।
এদিকে দেশটির পুলিশ প্রধান কায়িহুরা জানিয়েছেন, নিহতদের মধ্যে আয়ারল্যান্ডের একজন নাগরিক রয়েছেন। এছাড়া অজ্ঞাতপরিচয় আরও দুইটি মৃতদেহ নিরাপত্তা বাহিনীর হেফাজতে রয়েছে।
কায়িহুরা বলেন, তিনটি বিস্ফোরণ ঘটেছে। এর মধ্যে একটি বোমা আগে থেকে পোঁতা ছিলো এবং দু’টি আত্মঘাতি বোমাহামলার ঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে এর বেশি কিছু তিনি বলতে রাজি হননি।
উগান্ডার মার্কিন দূতাবাস নিশ্চিত করে জানায়, একজন মার্কিন নাগরিক এ হামলায় নিহত হয়েছেন।
উগান্ডার প্রেসিডেন্ট ইয়োয়েরি মুসেভেনি যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা চেয়েছেন। এ ঘটনায় ইন্টারপোলের একটি দল সেখানে পাঠানো হবে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট এ ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
এদিকে, উগান্ডার কর্মকর্তারা জানান, আগামী ১৯ জুলাই থেকে ২৭ জুলাই পর্যন্ত আফ্রিকান ইউনিয়নের সম্মেলনের অনুষ্ঠিত হবে। তারা সোমালিয়া থেকে সেনা প্রত্যাহার না করার ওপরও জোর দেন।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১১৪৬ ঘণ্টা, জুলাই ১৩, ২০১০