ইসলামাবাদ: ভারত ও পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রী পর্যায়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আগামী বৃহস্পতিবার। দেশ দু’টির মধ্যে আস্থার সম্পর্ক সৃষ্টি এবং শান্তি আলোচনা প্রক্রিয়া পুনরায় শুরু করার লক্ষ্যে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, দীর্ঘ সময়ের সীমান্ত বিরোধ অথবা পাকিস্তানের জঙ্গী তৎপরতা নিয়ে প্রতিবেশী দেশ দু’টি সামনে এগিয়ে আসছে। আলোচনাটি তাদের মধ্যে অনাস্থার পরিবেশ দূর করতে সহায়ক হতে পারে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রী এসএম কৃষ্ণা পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রীর সঙ্গে ইসলামাবাদে বৈঠকে বসবেন। ২০০৮ সালে মুম্বাই হামলার ঘটনায় পাকিস্তানের জঙ্গীরা জড়িত থাকায় এতোদিন শান্তি আলোচনা স্থগিত ছিলো। আট বন্দুকধারীর ওই হামলায় ১৬৬ জন নিহত হয়েছিলো।
আশা করা হচ্ছে, এসএম কৃষ্ণা ও পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রী শাহ মেহমুদ কোরেশি সব বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন।
পাকিস্তানের মুখপাত্র আবদুল বাসিত বার্তাসংস্থা এএফপিকে বলেন, “নির্দিষ্ট কোনো আলোচ্যসূচি নেই। সব বিষয়ই টেবিলে থাকবে। ”
ভারতের মুখপাত্র বলেন, “মন্ত্রীরা আস্থা ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করবেন। একইসঙ্গে দুই দেশের পারস্পরিক সমস্যা নিয়েও আলোচনা করবেন তারা। ”
সাম্প্রতিক এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে দেশ দুটির পশ্চিমা মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের উৎসাহে। যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তানে যুদ্ধ জয়ের মাধ্যমে আঞ্চলিক শান্তি আনার চেষ্টা করছে।
এসএম কৃষ্ণা আশা প্রকাশ করে বলেন, বৃহস্পতিবারের আলোচনাটি লাভজনক হবে। একইসঙ্গে সীমান্তে জঙ্গী সমস্যা ও বিভক্ত কাশ্মির নিয়েও আলোচনা হবে।
পাকিস্তানের বিশ্লেষক ইমতিয়াজ গুল বলেন, “আমার মনে হয় এই পর্যায়ে দুই দেশের মুখরক্ষার লক্ষ্যে মুম্বাই হামলার ব্যাপারে আলোচনা তোলা উচিৎ। ”
ভারতের বিশ্লেষক রমেশ চোপরা বলেন, দুই পক্ষই নিশ্চিত নয় তারা কী বিষয়ে আলোচনা করবেন। তিনি আরও বলেন, “সন্ত্রাসী তৎপরতা নিয়ে আলোচনার ব্যাপারে ভারতে জোর দেবে। পাকিস্তান সব বিষয় নিয়েই আলোচনায় বসতে চায়, বিশেষ করে কাশ্মির নিয়ে। ”
তিনি এও বলেন, “পাকিস্তান ও ভারতের নিয়মিত বসা ঘটনা ইতিবাচক উন্নয়ন। ”
১৯৪৭ সালে ব্রিটেন ভারতবর্ষ ভাগ করে দেওয়ার পর সীমান্ত ও সম্পদ নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের সম্পর্কের অবনতি হয়। ১৯৬০ সাল থেকে এ পর্যন্ত দেশ দুটি তিন বার যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছে।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১৪০৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৩, ২০১০