লন্ডন: ক্রমবর্ধমান সহিংস বিদ্রোহের মুখে পশ্চিমা রাজনৈতিক সমর্থন কমে গেলে আফগানিস্তানে আন্তর্জাতিক বাহিনীর বিরুদ্ধে তালেবান জঙ্গিরা হামলার তীব্রতা আরো বাড়াবে। ন্যাটো প্রধান এন্ডারস ফগ রাসমুসেন মঙ্গলবার এ সতর্কবাণী জানান।
গতকাল সোমবার লন্ডনে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি আজ এ মন্তব্য করেন।
আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের নির্দিষ্ট কোনো তারিখ উল্লেখ না করে যতদিন প্রয়োজন সেখানে সেনা মোতায়েন থাকবে বলে দ্য ডেইলি টেলিগ্রাফ সংবাদপত্রকে জানান তিনি। ন্যাটো প্রধান বলেন, “আমরা আশা ও প্রত্যাশা রাখতে পারি, কিন্তু আমি নিশ্চিতভাবে সেনা প্রত্যাহারের নির্দিষ্ট কোনো দিন-তারিখ জানাতে পারছিনা। ”
তিনি আরও বলেন, “তালেবান জঙ্গিরা সেনা মোতায়েন করা দেশগুলোর রাজনৈতিক বিতর্ক গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। তাদের হামলার কারণে আফগানিস্তানে আমাদের সমর্থন কমে যাবার বিষয়টি তারা জানতে পারলে বিদেশী সেনাদের উপর তাদের হামলার তীব্রতা আরও বেড়ে যাবে। ”
দ্রুত সেনা প্রত্যাহার বিষয়ে তিনি বলেন, “আন্তর্জাতিক বাহিনী তাড়াতাড়ি আফগানিস্তান ত্যাগ করলে তালেবান জঙ্গিরা আবার আফগানিস্তানে ফিরে আসবে এবং এ অঞ্চল তাদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হবে। একইসঙ্গে উত্তর আমেরিকা ও ইউরোপে সন্ত্রাসী হামলার জন্য তারা এ অঞ্চলকে ব্যবহার করবে। ”
এছাড়া এর ফলে প্রতিবেশী পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্র পাকিস্তান অস্থিতিশীল হওয়ার ঝুঁকি সম্পর্কেও সতর্ক করে দেন তিনি।
এদিকে ন্যাটো প্রধানের সঙ্গে ক্যামেরনের বৈঠক বিষয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, “প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়টি স্পষ্ট করে বলেছেন যে তাঁর সরকারের পররাষ্ট্র নীতি ও জাতীয় নিরাপত্তার অন্যতম প্রধান গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে আফগানিস্তানে সাফল্য। ”
তবে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে ব্রিটিশ সেনারা বাড়ি ফিরে আসবে বলে গত সপ্তাহে আইন প্রণেতাদের কাছে আশাবাদ ব্যক্ত করেছিলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, আফগানিস্তানে বর্তমানে ন্যাটো ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এক লাখ ৪০ হাজার সেনা মোতায়েন আছে এবং পাল্টা প্রতিরোধ কৌশল হিসেবে আগামী সপ্তাহে আরও ১০ হাজার সেনা সেখানে পাঠানো হবে।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১৫১৮ ঘণ্টা, জুলাই ১৩, ২০১০