মিয়ানমার: পরমাণু অস্ত্র তৈরি কর্মসূচির সাম্প্রতিক রিপোর্টটির সত্যতা অস্বীকার করেছে মিয়ানমার সরকার। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থেকেই বিদেশী সংবাদ মাধ্যমগুলো এ ধরনের প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
রিপোর্টটি প্রকাশের পর মার্কিন সেনেটর জিম ওয়েব তাঁর পূর্বপরিকল্পিত মিয়ানমার সফর বাতিল করেছেন।
সম্প্রতি নরওয়েভিত্তিক ডেমোক্রেটিক ভয়েস অব মিয়ানমারের সম্প্রচারকারীরা একটি তথ্যচিত্র (ডকুমেন্টারি) প্রচার করে। এ তথ্যচিত্রে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা মেজর সেই থিয়েন উইনকে দেখানো হয়। তিনি মিয়ানমারের একটি সামরিক স্থাপনাতে রকেট ইঞ্জিনের যন্ত্রাংশ এবং একটি পারমাণবিক চুল্লি তৈরির প্রকৌশল ইউনিটে কর্মরত ছিলেন বলে জানান।
মিয়ানমার সরকার রিপোর্টটিকে ‘ভিত্তিহীন দোষারোপ’ বলে মন্তব্য করেছে। ‘মিয়ানমার একটি শাস্তিপূর্ণ দেশ যার ‘সামরিক শক্তি হিসাবে পরমাণু অস্ত্রের অধিকারী হওয়ার কোন উদ্দেশ্য নেই’।
মিয়ানমার সরকার আরও জানিয়েছে যে জনাব ‘সেই’ রাশিয়া থেকে প্রশিক্ষিত তবে তিনি মেজর নন এবং গত ফেব্রুয়ারীতে তিনি সামরিক বাহিনী থেকে পালিয়ে গিয়েছেন।
এর আগে বিশ্লেষকরা উদ্বেগ প্রকাশ করে জানান যে পরমাণু প্রযুক্তির উন্নয়নে সাম্প্রতিক মাসগুলিতে মিয়ানমার উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে সহযোগীতা করে আসছে। যথারীতি মিয়ানমার সরকার এই বক্তব্যটিও অস্বীকার করেছে। গত এপ্রিলে মিয়ানমারে নোঙর করা উত্তর কোরিয় জাহাজটি শুধুমাত্র চাল ও সিমেন্ট বাণিজ্যের জন্য এসেছিল, পরমাণু যন্ত্রাংশের জন্য নয় বলে মিয়ানমার সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
উল্লেখ্য, মিয়ানমার পরমাণু অস্ত্র বিস্তার-নিরস্ত্রীকরণ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে এবং দেশটি আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার সদস্য।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ০০৩০, ১২ জুন, ২০১০
টিএ/ডিসি