ঢাকা: মৃত্যুদণ্ডের বদলে কারাদণ্ড দিলে খরচ চালানোর প্রস্তাব দিয়ে ইন্দোনেশিয়ায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত নিজ দেশের দুই নাগরিককে বাঁচাতে আরেকবার চেষ্টা চালালো অস্ট্রেলিয়া। মাদক চোরাচালানের দায়ে অ্যান্ড্রু চ্যান ও মিউরান সুকুমারানের মৃত্যুদণ্ড হয়।
বৃহস্পতিবার (১২ মার্চ) সাজাপ্রাপ্ত এ দু’জনকে বাঁচাতে এক চিঠিতে ইন্দোনেশিয়ায় অস্ট্রেলীয় প্রতিনিধির মারফত প্রস্তাব পাঠান দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী জুলি বিশপ।
‘বালি নাইন’ নামের কুখ্যাত মাদক চোরাচালান সংঘের সদস্য ওই দুইজনকে বাঁচাতে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী টনি অ্যাবটের বন্দিবিনিময় প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে ইন্দোনেশীয় সরকার।
৪ মার্চ সকালে অ্যান্ড্রু চ্যান এবং মিউরান সুকুমারানকে কড়া নিরাপত্তা মধ্যে বালির কেরোবোকান কারাগার থেকে নুসাকামবাঙ্গান দ্বীপে নিয়ে যাওয়া হয়। সাধারণত মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বন্দিদের সাজা কার্যকরের জন্য নিয়ে যাওয়া হয় এ দ্বীপে।
তাদের সঙ্গে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ফ্রান্স, ব্রাজিল, নাইজেরিয়ারসহ দশজন বিদেশি নাগরিক ছিল।
এদিকে বৃহস্পতিবার ইন্দোনেশীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের মৃত্যুদণ্ড অন্তত ১৬ দিনের মধ্যে কার্যকর করা হবে না।
ক্ষমা ভিক্ষার আবেদন খারিজের বিরুদ্ধে এক আপিল আবেদনের প্রেক্ষিতে ইন্দোনেশিয়ার সুপ্রিম কোর্ট বৃহস্পতিবার (১২ মার্চ) এক আদেশে আগামী ১৯ মার্চ পর্যন্ত অ্যান্ড্রু চ্যান এবং মিউরান সুকুমারানের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর স্থগিত রাখার নির্দেশ দেন। ফ্রান্সের মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত নাগরিকের আলাদা আপিল আবেদনের প্রেক্ষিতেও গতকাল বুধবার (১১ মার্চ) তার মৃত্যুদণ্ডাদেশ ২৫ মার্চ পর্যন্ত স্থগিত রাখার নির্দেশ দেন আদালত।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৩ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০১৫
** অস্ট্রেলিয়ার ‘বন্দি বিনিময়’ প্রস্তাবও প্রত্যাখ্যান ইন্দোনেশিয়ার