ঢাকা: সিঙ্গাপুরের পুলিশ দেশটির জনক ও প্রথম প্রধানমন্ত্রী লি কুয়ান ইউয়ের মৃত্যুর গুজব ছড়ানো ওয়েবসাইটের সন্ধানে নেমেছে।
সিঙ্গাপুর ‘সরকারের একটি ওয়েবসাইট’কে উদ্ধৃত করে বুধবার (১৮ মার্চ) সন্ধ্যায় যুক্তরাষ্ট্রের সিএনএন, চীনের সিসিটিভিসহ বেশকিছু সংবাদমাধ্যম লি কুয়ানের মৃত্যুর খবর প্রচার করে।
এর ১০ মিটির পরেই খবরটি ভুয়া বলে জানায় দেশটির প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়।
এদিকে, রাতেই সিঙ্গাপুরের পুলিশ জানায়, এ ভুয়া খবরের বিরুদ্ধে প্রধামন্ত্রীর কার্যালয়ের অভিযোগ নথিভুক্ত করা হয়েছে। তারা বিষয়টি দেখছে।
সিঙ্গাপুর পুলিশের সহকারী কমিশনার মেলভিন ইয়ং গণমাধ্যমকে বলেন, যে এ মিথ্যা খবর প্রচার করেছে আমরা তার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছি।
দেশটির পুলিশ-পাবলিক অ্যাফেয়ার্স বিভাগের এ প্রধান কর্মকর্তা দেশের জনগণকে এ মিথ্যা সংবাদ না ছড়াতে অনুরোধ করেন।
নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে গত ৫ ফেব্রুয়ারি সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন লি কুয়ান। শারীরিক অবস্থার ক্রমশ অবনতি ঘটতে থাকায় সবশেষে তাকে হাসপাতালের নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়। এখন তিনি সেখানেই চিকিৎসাধীন।
ব্রিটেন থেকে স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৫৯ সালে সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বগ্রহণ করা লি কুয়ান টানা ত্রিশ বছর স্বপদে আসীন থাকেন। এই তিন দশকে ভগ্ন অর্থনৈতিক অবস্থা থেকে তুলে এশিয়ার অন্যতম ধনী দেশে পরিণত করেন দেশটিকে। এ কারণে সিঙ্গাপুরে তিনি গভীর শ্রদ্ধার পাত্র।
১৯৯০ সালে লি কুয়ান অবসরে গেলে তারই সহকারী গোহ শক টং ২০০৪ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন। এরপর কুয়ানের দ্য পিপল’স অ্যাকশন পার্টির (পিএপি) অপর নেতা লি শেইন লুং ক্ষমতায় আসেন।
১৯৫৯ সালের পর লি কুয়ানের দল পিএপি কখনোই নির্বাচনে পরাজিত হয়নি। বর্তমান সংসদের ৮৭টি আসনের মধ্যে ৮০টিই জনপ্রিয় এই দলটির দখলে।
** সিঙ্গাপুরের জনক লি কুয়ানের মৃত্যুর খবর ভুয়া
বাংলাদেশ সময়: ০২০৩ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০১৫
