ঢাকা: পাক-আফগান সীমান্তে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান পরিচালনাকালে ড্রোন হামলায় আল কায়েদার হাতে জিম্মি দু’জন বিদেশি নাগরিক নিহতের ঘটনায় ‘গভীর দুঃখপ্রকাশ’ ও ক্ষমা প্রার্থনা করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
বৃহস্পতিবার (২৩ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে হোয়াইট হাউজ ‘দুঃখপ্রকাশ’ করে জানায়, গত জানুয়ারিতে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের সীমান্ত এলাকায় আল কায়েদা স্থাপনা লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালানো হয়।
তবে ওই হামলার ঘটনায় আল কায়েদা নেতা আহমেদ ফারুকও নিহত হয় বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউজ।
বিবৃতিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেন, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে পরিচালিত ওই সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে ‘দুর্ঘটনাবশত’ আমরা ওয়ারেন ও জিওভান্নিকে হত্যা করেছি।
ক্ষমা প্রার্থনা করে তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট ও প্রধান সামরিক প্রশাসক হিসেবে আমাদের পরিচালিত সন্ত্রাসবিরোধী সব অভিযানের সম্পূর্ণ দায়দায়িত্ব আমার। ওয়ারেন ও জিওভান্নির হত্যার ঘটনাও এর মধ্যে পড়ে।
২০১১ সালের আগস্টে পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় শহর লাহোর থেকে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কনসালটেন্সি ফার্ম জেই অস্টিন অ্যাসোসিয়েটসের পাকিস্তান শাখার পরিচালক ওয়ারেন ওয়েইনস্টেইনকে অপহরণ করে আল কায়েদা।
অন্যদিকে, ইতালিয়ান স্বেচ্ছাসেবক লো পোর্তোকে ২০১২ সালের জানুয়ারিতে পাকিস্তানের মুলতান থেকে অপহরণ করা হয়। তিনি জার্মানভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবক প্রতিষ্ঠান ওয়েলথাঙ্গারহাইলফের হয়ে কাজ করতেন।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫১ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০১৫
আরএইচ/কেএইচ/