ঢাকা: মৌসুমি ঝড় ‘মেলর’র আঘাতে ফিলিপাইনে তিনজনের প্রাণহানি হয়েছে। প্রবল বৃষ্টিপাত ও ঝড়ো বাতাসের কারণে বহু মানুষ বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন বলে কর্তৃপক্ষের বরাতে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম।
সংবাদমাধ্যম বলছে, পানির স্রোতে ভেসে গিয়ে দু’জনের প্রাণহানি হয়েছে। অপরজন মারা গেছেন ‘হাইপোথারমিয়ায়’ (এক ধরনের শক, শরীরের তাপমাত্রা ৯৫ ডিগ্রি ফারনহাইটের নিচে নামলে হয়)।
ঝড়ের তীব্রতায় অন্তত সাতটি প্রদেশে গাছ ও বিদ্যুৎতের তার ছিঁড়ে গেছে বলে জানিয়েছে ফিলিপাইনের ন্যাশনাল ডিজাস্টার রিস্ক রিডাকশন অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট কাউন্সিল (এনডিআরআরএমসি)।
বৈরী আবহাওয়ার কারণে মঙ্গলবার (১৫ ডিসেম্বর) অভ্যন্তরীণ রুটে ১৬টি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। এর আগে সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) ৫৬টি ফ্লাইট বাতিল করা হয়।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সকালে ২৩০ কিলোমিটার বেগে টাইফুনটি আঘাত হানে। স্থানীয়ভাবে ‘নোনা’ নামে পরিচিত টাইফুনটির প্রভাবে টাইফুনের প্রভাবে সৃষ্ট প্রবল বর্ষণে ব্যাপক বন্যা ও ভূমিধসের আশঙ্কা করছে কর্তৃপক্ষ।
ফিলিপাইন ন্যাশনাল ওয়েদার এজেন্সি পিএজিএএসএ জানায়, মঙ্গলবার ভোর ৫টা নাগাদ টাইফুনটি মাসবাত প্রদেশের বুরাইস দ্বীপ অতিক্রম করেছে। বেলা ১১টা নাগাদ উত্তরাঞ্চলীয় সামার প্রদেশের বাতাগ দ্বীপে আঘাতের পর এটি দুর্বল হয়ে পড়বে।
২০১৩ সালে দেশটিতে আঘাত হানা ক্যাটাগরি ৫ টাইফুন ‘হাইয়ান’র গতিপথ ধরে এগুচ্ছে ‘মেলর’। হাইয়ানের আঘাতে ওই সময় ৮ হাজার মানুষের প্রাণহানি হয়। নিখোঁজ হন বহু মানুষ।
আকুওয়েদারের আবহাওয়াবিদ অ্যাডাম দৌতি বলেন, শক্তি সঞ্চয় করে পরিণত হয়ে এগুচ্ছে টাইফুন মেলর। এর প্রভাবে মূলকেন্দ্র থেকে দূরেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ন্যাশনাল ডিজাস্টার রিস্ক রিডাকশান অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট কাউন্সিলের এক্সকিউটিভ ডিরেক্টের আলেকজান্দ্রার পামা বলেন, টাইফুনের আঘাতে সৃষ্ট বর্ষণে বন্যা, ভূমিধসের আশঙ্কা করা হচ্ছে। সে সঙ্গে বিদ্যু ও যোগাযোগ ব্যবস্থার ক্ষতিও হতে পারে।
প্রতি বছরে কমপক্ষে ২০টি বড় ধরনের ঝড়ের কবলে পড়তে হয় ফিলিপাইনকে।
** সাড়ে সাত লাখ মানুষকে সরিয়ে নিলো ফিলিপাইন
** ফিলিপাইনে ‘মেলর’র আঘাত, বন্যার আশঙ্কা
বাংলাদেশ সময়: ১২২৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০১৫
জেডএস