ঢাকা: দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ থাকার পর না ফেরার দেশে চলে গেলেন কিউবার মহান নেতা ও সাম্যবাদের নায়ক বিপ্লবী ফিদেল কাস্ত্রো। ৯০ বছর বয়সে বাংলাদেশ সময় শনিবার (২৬ নভেম্বর) সকালে মারা যান তিনি।
ক্যারাবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের দেশ কিউবায় সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পর ২০০৮ পর্যন্ত রাষ্ট্র ক্ষমতায় ছিলেন তিনি। এরপর থেকে অবসরে ছিলেন তিনি।
সম্প্রতি তার ৯০তম জন্মদিনের উৎসবেও দেখা যায়নি তাকে। আজীবন বিপ্লবী ফিদেল কাস্ত্রোর কিছু আলোকচিত্র।
১৯৪০ সালে সানতিয়াগোর একটি স্কুলে পড়তেন ফিদেল কাস্ত্রো, সহপাঠীর সঙ্গে ললিপপ খাওয়া অবস্থায় তরুণই হলেন কাস্ত্রো।
প্রথম স্ত্রী মিরতা এবং ছেলে ফিদেলিতোর সঙ্গে ফিদেল কাস্ত্রো। ছবিটা ১৯৫০ সালের দিককার।
ফিদেল কাস্ত্রো ১৯২৬ সালে কিউবার একটি ধনাঢ্য পরিবারের জন্মগ্রহণ করেন। এরপর তরুণ বয়সেই বৈপ্লবিক রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন তিনি।
দুই বছর জেলে থাকার পর ১৯৫৬ সালে মেক্সিকোতে ফিরে আসেন বিপ্লবী কাস্ত্রো। ১৯৫৯ সালে তখনকার কিউবার সরকার প্রধান জেনারেল ফুলজেন্সিও বাতিস্তাকে উৎখাত করে রাষ্ট্র ক্ষমতায় অতিষ্ঠিত হন তিনি।
বারান্দায় দাঁড়িয়ে ভাষণ দিচ্ছেন কিউবানদের মহান বিপ্লবী এই নেতা। ছবিটি ১৯৫৯ সালে তোলা।
১৯৬১ সালে বিপ্লবী কাস্ত্রো তার বাহিনী নিয়ে নির্বাসিত দেড় হাজার কিউবানের বিরুদ্ধে লড়াই করেন। ওই কিউবান নাগরিকরা সিআইএ-কে সমর্থন দিচ্ছিলেন, যারা তার সরকারকে উচ্ছেদ করতে জড়ো হচ্ছিলেন।
বেজবলের প্রতি বিশেষ আকর্ষণ ছিলো ফিদেল কাস্ত্রোর। খেলাটি খুব পছন্দ করতেন তিনি, খেলতেনও। ছবিটি ১৯৬২ সালে সেয়েররা মায়স্ট্রার একটি টিচার্স কলেজে তোলা।
ইক্ষু খেতে ইক্ষু কাটছেন বিপ্লবী নেতা ফিদেল কাস্ত্রো। ছবিটি ১৯৭০ সালে তোলা।
কিউবার প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন সময়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে দেখা হয়েছিল ফিদেল কাস্ত্রোর। এ সময় তিনি বলেছিলেন- আমি হিমালয় দেখিনি। কিন্তু আমি শেখ মুজিবকে দেখেছি। তিনি ব্যক্তিত্ব এবং সাহসের দিক থেকে হিমালয়ের সমান।
দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম গণতান্ত্রিক প্রেসিডেন্ট নেলসন ম্যান্ডেলার সঙ্গে ফিদেল কাস্ত্রো
চিরচেনা ভঙ্গিতে ধূমপান করছেন চে’র অনুসারী কাস্ত্রো।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক শহরে পরিদর্শনকালে বিপ্লবী এ নেতা। তবে কিছু ‘লিবারেল’ কিউবান তারও সমালোচনা করতেও ছাড়েনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১৬
আরএইচএস/এমএ