যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে আগামী মাসেই শপথ নেবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ২০১৬ প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাচনে রিপাবলিকান এই প্রার্থী তার প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনের চেয়ে প্রায় ৩০ লাখ ভোট কম পেয়েও ইলেক্টোরাল কলেজের জেরে প্রেসিডেন্ট হয়েছেন।
দেশের ৫০টি অঙ্গরাজ্য ও ওয়াশিংটন ডিসির সকল ভোটকেন্দ্রের ফলের চূড়ান্ত গণনা শেষে দেখা গেছে হিলারি পেয়েছেন ৬ কোটি ৫৮ লাখ ৪৪ হাজার ৬১০ ভোট। যা মোট ভোটের ৪৮.২ শতাংশ। অন্যদিকে ট্রাম্প পেয়েছেন ৬ কোটি ২৯ লাখ ৭৯ হাজার ৬৩৬ ভোট। যা মোট ভোটের ৪৬.১ শতাংশ। অন্য প্রার্থীরা মোট ৭৮ লাখ ৪ হাজার ২১৩ ভোট পেয়েছেন যা ৫.৭ শতাংশ।
সেই হিসাবে হিলারি ক্লিনটন ডোনাল্ড ট্রাম্পের চেয়ে ২৮ লাখ ৬৪ হাজার ৯৭৪টি বেশি পপুলার ভোট পেয়েছেন।
আর এর মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে নতুন রেকর্ড গড়লেন হিলারি। এর আগে আর কেউ পপুলার ভোট এত বেশি পেয়ে ইলেক্টোরাল কলেজে হারেননি। হিলারির আগে ২০০০ সালে অপর ডেমোক্র্যাট প্রার্থী আল গোর পপুলার ভোটে জিতেও প্রেসিডেন্ট হতে পারেননি। তবে তার পপুলার ভোট প্রতিদ্বন্দ্বী রিপাবলিকান প্রার্থী জর্জ ডব্লিউ বুশের চেয়ে মাত্র ৫ লাখ বেশি ছিলো।
ট্রাম্পের এই জয় তাকেও ইতিহাসে স্থান করে দিয়েছে। ১৮২৪ সালে প্রথম এই পপুলার ভোটের পদ্ধতির চালু হওয়ার পর এ পর্যন্ত ট্রাম্প তৃতীয় প্রেসিডেন্ট যিনি পপুলার ভোটে এত বাজে ভাবে হেরেছেন।
তবে এখানে ইলেক্টোরাল কলেজ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। নির্বাচনের চিন ট্রাম্প ৩০৬টি ইলেক্টোরাল ভোট জেতেন। সেদিন হিলারি পান ২৩২ ভোট। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য প্রয়োজন ছিলো ২৭০টি ভোট। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে অনেক জল্পনা-কল্পনাই চলেছে। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন পপুলার ভোটে এর বড় ব্যবধানে হেরে যাওয়ার পরেও কিভাবে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হতে পারেন। কিন্তু গত সোমবারের ভোটাভুটি সকল প্রশ্নের অবসান ঘটিয়ে তার জয় সুনিশ্চিত করেছে।
এসময় মাত্র দুটি ইলেক্টোরাল ভোট কম পড়ে ট্রাম্পের ঝোলায়। অন্যদিকে হিলরিরও ভোট কমে যায় ৫টি। এই ৭ জন ইলেক্টর তাদের ভোট দেন অন্য প্রার্থীদের পক্ষে।
বাংলাদেশ সময় ১০০৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০১৬
এমএমকে