ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

সু চি’র সম্মাননা স্থগিত করলো ব্রিটিশ ইউনিয়ন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১১০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৭
সু চি’র সম্মাননা স্থগিত করলো ব্রিটিশ ইউনিয়ন অং সান সু চি

মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সেলর (কার্যত সরকারপ্রধান) অং সান সু চিকে দেওয়া সম্মাননা স্থগিত করেছে ব্রিটেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম ট্রেড ইউনিয়ন ‘ইউনিসন’। রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর জাতিগত নিধনযজ্ঞ চললেও তা বন্ধে ব্যর্থ হওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউনিয়নটি।

২০১০ সালে সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক প্রচারণাভিযান চলাকালে কারাবন্দি সু চিকে সম্মাননাসূচক সদস্যপদ দিয়েছিল ইউনিসন। এখন তাদের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, মিয়ানমারের শান্তিতে নোবেলজয়ী নেত্রীকে দেওয়া সম্মাননাসূচক সদস্যপদ স্থগিত করেছে ইউনিয়ন।

একইসঙ্গে রোহিঙ্গাদের দুর্দশা লাঘবে ব্যবস্থা নিতে সু চি’র প্রতি আহ্বানও জানাচ্ছে সংগঠনটি।

ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট মার্গারেট ম্যাককি’র বরাত দিয়ে দেশটির প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান এ খবর দিয়েছে। রোহিঙ্গাদের বিষয়ে ম্যাককি বলেছেন, মিয়ানমারের রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতিতে রয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে সু চি’র সম্মাননাসূচক সদস্যপদ স্থগিত করেছে ইউনিসন। আমরা আশা করি, তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপের সাড়া দেবেন।

কেবল ইউনিসন নয়, ব্রিটিশ অনেক ইনস্টিটউশন এখন সু চিকে দেওয়া সম্মাননা প্রত্যাহার বা এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিবেচনা করছে।

ব্রিটেনের শীর্ষস্থানীয় উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ব্রিস্টল ইউনিভার্সিটি বলেছে, তারাও বিশ্ব সম্প্রদায়ের উদ্বেগে শামিল হয়ে সু চিকে দেওয়া সম্মানসূচক ডিগ্রি প্রত্যাহারের বিষয়টি বিবেচনা করছে।

আরেক বিশ্ববিদ্যালয় লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিকস অ্যান্ড পলিটিক্যাল সায়েন্সের স্টুডেন্ট ইউনিয়ন বলেছে, গণহত্যার মুখে সু চি’র নিষ্ক্রিয়তা ও বর্তমান অবস্থানের বিরোধিতা করে তার সম্মানসূচক প্রেসিডেন্ট পদ প্রত্যাহার করছে ইউনিয়ন।

অক্সফোর্ড শহরের কাউন্সিলরা জানিয়েছেন, সু চিকে ১৯৯৭ সালে ‘ফ্রিডম অব দ্য সিটি অব অক্সফোর্ড’ নামে দেওয়া সম্মাননা প্রত্যাহারের বিষয়টি ‍পুনর্বিবেচনা করছেন তারা।

গত ২৫ আগস্ট থেকে রাখাইনে রোহিঙ্গা মুসলিমদের বিরুদ্ধে জাতিগত নিধনযজ্ঞ চালাচ্ছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। বিভিন্ন সংস্থার হিসাব মতে, সেখানে ৩ থেকে ৪ হাজার মানুষ গণহত্যার শিকার হয়েছে। নৃশংসতার মুখে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে সোয়া ৪ লাখ মানুষ। বেসরকারি হিসাব মতে, এ সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ।  

এমন অবস্থায় গত মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দেওয়া ভাষণে সু চি গণহত্যার কথা অস্বীকার করে পরিস্থিতির জন্য রোহিঙ্গাদেরই দায়ী করেন। তার এই বক্তব্যকে মিথ্যাচার বলে নিন্দা জানায় অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা-প্রতিষ্ঠান ও বিশ্বের শীর্ষ নেতৃত্ব। এরমধ্যেই তার সম্মাননা স্থগিত করার খবর আসছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৭
এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।