ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

ট্রাম্পের ইরানবিরোধী আগ্রাসীনীতিতে খুশি সৌদি বাদশাহ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০১৭
ট্রাম্পের ইরানবিরোধী আগ্রাসীনীতিতে খুশি সৌদি বাদশাহ ট্রাম্পের ইরানবিরোধী নীতিতে খুশি সৌদি বাদশাহ সালমান

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ইরানবিরোধী আগ্রাসীনীতিতে বেজায় খুশি সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদ। মার্কিন প্রেসিডেন্টকে ফোন করে তিনি বলেছেনও, ইরানকে শায়েস্তা করতে তার এই আগ্রাসীনীতিকে স্বাগত জানাচ্ছে রিয়াদ।

শনিবার (১৪ অক্টোবর) ট্রাম্পের সঙ্গে এই ফোনালাপ হয় বাদশাহ সালমানের। সৌদির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম আরব নিউজের এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।

গত শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) ইরানের বিরুদ্ধে কড়া বক্তব্য দেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি তেহরানের নেতৃত্বকে শাসিয়ে বলেন, নমনীয় না হলে আরও কঠোর হবে যুক্তরাষ্ট্র।

আরব নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরানের প্রতি ট্রাম্প যে আগ্রাসী মনোভাব দেখিয়েছেন সেজন্য ফোনালাপে তাকে সমর্থন জানিয়েছেন বাদশাহ সালমান। পরমাণু ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি নিয়ে ইরানের তৎপরতা ও মধ্যপ্রাচ্যে উগ্রবাদী গোষ্ঠীগুলোর প্রতি তাদের কথিত সমর্থনকে চ্যালেঞ্জ ও হুমকি হিসেবে গণ্য করায় এবং এসব মোকাবেলায় যৌথ প্রচেষ্টার ওপর গুরুত্ব প্রকাশ করায় মার্কিন প্রেসিডেন্টের প্রশংসাও করেছেন সৌদি বাদশাহ।

শুক্রবার নিজের ভাষণে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, তেহরান তার পরমাণু চুক্তির মূল লক্ষ্য পূরণে কাজ করছে না। যুক্তরাষ্ট্রের লক্ষ্য যেন দেশটি পরমাণু অস্ত্র কখনো তৈরি করে ফেলতে না পারে, তা নিশ্চিত করা।

ইরানকে পরমাণু অস্ত্র তৈরি থেকে বিরত না রাখা গেলে এর পরিণতি আরও সহিংস ও সন্ত্রাসের এবং ঝুঁকিপূর্ণ হবে উল্লেখ করে ট্রাম্প বলেন, এমনটি হতে দিতে পারে না যুক্তরাষ্ট্র।

২০১৫ সালে স্বাক্ষরিত চুক্তি অনুযায়ী ইরান সীমিত আকারেই তাদের পরমাণু চুল্লির কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে বলে যুক্তরাষ্ট্রের অন্য মিত্ররা জানিয়ে এলেও ট্রাম্প বরাবরই এ চুক্তির বিরোধিতা করে আসছেন। তার দাবি, ইরান সবাইকে ফাঁকি দিয়ে তাদের পরমাণু অস্ত্র তৈরির জন্য ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করছে।

তিনি এ চুক্তি থেকে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নেওয়ার ইঙ্গিত দিলেও পশ্চিমা মিত্রদের সমালোচনার মুখে সংযত হতে বাধ্য হন।

কিন্তু তার ইরানবিরোধী বক্তব্যের প্রশংসা করে ইসরায়েল। যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি, রাশিয়া, চীন ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মতো শক্তিগুলো মার্কিন প্রেসিডেন্টের এ অবস্থানে খুশি হতে না পারলেও ইসরায়েলের মতোই খুশি প্রকাশ না করে পারলো না সৌদি আরব।

আঞ্চলিক প্রভাব বিস্তারের প্রশ্নে শিয়া অধ্যুষিত রাষ্ট্র ইরানের ওপর বরাবরই নাখোশ সুন্নি অধ্যুষিত সৌদি আরব। মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি যুদ্ধক্ষেত্রে তাদের অবস্থানও মুখোমুখি। ইয়েমেনের হুথিদের দমনে সৌদি সামরিক অভিযান শুরু করলেও ওই গোষ্ঠীটিকে সমর্থন দিচ্ছে ইরান। আবার সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পক্ষে ইরান অবস্থান নিলেও তার বিরোধী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে সার্বিক সহযোগিতার অভিযোগ রয়েছে সৌদির বিরুদ্ধে।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০১৭
এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।