আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এর মাধ্যমে প্রথমবার রোহিঙ্গা হত্যার দায় স্বীকার করলো মিয়ানমার সেনাবাহিনী।
স্থানীয় এলাকাবাসী ও সেনা সদস্যরা ওই হত্যাকাণ্ড ঘটায় জানিয়ে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে বিবৃতিতে।
গত বছরের ২৫ আগস্ট মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অভিযান শুরুর পর সহিংসতার মুখে সেখান থেকে প্রাণভয়ে ছয় লাখের বেশি মানুষ বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। রাখাইনের ওই অভিযানকে জাতিসংঘ আগে থেকেই ‘জাতিগত নিধনযজ্ঞ’ বললেও অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেন হ্লাইং।
সে সময় ডিসেম্বরে অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে এক বক্তব্যে তিনি ধৃষ্ঠতা ও ঔদ্ধত্যের স্বরে বলেছিলেন, রোহিঙ্গা ‘পলায়নের’ যে খবর আসছে, তা অতিরঞ্জিত। আর রোহিঙ্গারাই ‘অবৈধ বাঙালি’।
জেনারেল হ্লাইং দাবি করেন, রাখাইনে সেনাবাহিনীর অভিযান ছিল সমানুপাতিক। সেনাবাহিনীর তৎপরতার ফলেই বরং শরণার্থী ঢল নিম্নমুখী ছিল।
আর বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা নারীরা মিয়ানমার সেনা সদস্যদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করেন। স্যাটেলাইট চিত্রে উঠে আসে শত শত রোহিঙ্গা গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়ার প্রমাণ।
বাংলাদেশ সময়: ২৩৪৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০১৮
জেডএস