তার নির্যাতনের শিকার প্রায় ১৬০ জন সাক্ষী আদালতে স্বীকারক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ার পর বুধবার (২৪ জানুয়ারি) আদালত এই আদেশ দিয়েছেন বলে আর্ন্তজাতিক গণমাধ্যমসূত্রে জানা গেছে।
নাসেরকে অলিম্পিক জিমন্যাস্টসহ মেয়েদের এবং তরুণীদের যৌন নির্যাতনের ১০টি মামলায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।
আদালতে নাসের ক্ষমা প্রার্থনা করলে বিচারক রোজম্যারি আকিলিনা তা প্রত্যাখ্যান করে বলেন, ভয়াবহ এই অপরাধের জন্য তাঁর ‘জীবনের বাঁকি অংশ জেলখানার অন্ধকারে কাটাতে হবে। ’
শিশু পর্নোগ্রাফি রাখার জন্য অবশ্য ৫৪ বছর বয়সী মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটির এই ডাক্তারকে এর আগে ৬০ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
পরে বুধবারের রায় ঘোষণার সময় বিচারক নাসেরকে উদ্দেশ্য করে বলেন, নির্য়াতিত বোনদের বেঁচে থাকার খবরে আমি যতটুকু না আনন্দিত, তার থেকে বেশি আনন্দিত তোমাকে শাস্তি দিতে পেরে। কারণ তুমি যে অপরাধ করেছো তাতে কারাগারের বাইরে থাকার কোন অধিকার তোমার নেই।
এর আগে গত সাত দিন নির্যাতিতদের আবেগপ্রবণ সাক্ষ্য শোনার পর, নাসেরকে আদালতে আত্মঃপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হয়েছিল।
এসময় নাসের আদালতে বিচারককে বলেন, আমি আপনার সমস্ত অনুভূতি, আবেগ ও ব্যথা অনুভব করতে পারছি। যে সমস্ত ঘটনা ঘটেছে তার জন্য আমি যে কতটা গভিরভাবে অনুতপ্ত ও লজ্জিত তা প্রকাশ করার ভাষা আমার নেই।
কিন্তু বিচারক তাকে ক্ষমা না করে বলেন, তুমি যা করেছো তার প্রাপ্য শাস্তি এখনো তুমি পাওনি। আমি শুধু তোমার ডেথ ওয়ারেন্টে (মৃত্যু পরোয়ানা) স্বাক্ষর করেছি।
উল্লেখ্য, মার্কিন অলিম্পিকের সাবেক চিকিৎসক নাসেরের বিরুদ্ধে চিকিৎসার নামে যৌন হয়রানির অভিযোগ করেন যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক অলিম্পিয়ান, যাদের মধ্যে রয়েছেন স্বর্ণজয়ী গ্যাবি ডগলাসও।
বাংলাদেশ সময়: ০৭১৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০১৮
এসআইজে/এমআরএম/এসআইএস