ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

প্যাম্পার্সের ডায়াপারে মহানবীর (সা.) নাম লেখার অভিযোগ!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৪৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০১৮
প্যাম্পার্সের ডায়াপারে মহানবীর (সা.) নাম লেখার অভিযোগ! প্যাম্পার্সের ডায়াপারের ছবি ও পুলিশে অভিযোগ জানাচ্ছেন অভিযোগকারীরা

ঢাকা: বিশ্বের অন্যতম বড় বেবি ডায়াপার উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান প্যাম্পার্সের ডায়াপারের মহানবী হজরত মুহাম্মদের (সা.) নাম লেখার অভিযোগ উঠেছে। ভারতে বাজারজাত করা মাল্টিন্যাশনাল একটি কোম্পানির ওই ডায়াপারে অঙ্কিত কার্টুন বিড়ালের নাক, মুখ, গোঁফ ও বাম চোখ আরবি বা উর্দুতে লেখা মহানবীর নাম সদৃশ।

বিষয়টি নজরে আসার পর ভারতজুড়ে বইছে সমালোচনার ঝড়। প্যাম্পার্সের ডায়াপার পোড়ানোসহ চলছে নানান প্রতিবাদ কর্মসূচি।

এমনটি জানাচ্ছে ডেইলি মেইল, সান, মেট্রোসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম।

আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হচ্ছে, মুসলমানরা এটা ধর্মের অবমাননা হিসেবে দেখছেন। ইসলামিক গ্রুপ দারসগাহ জিহাদ-ও-শাহাদাত বিষয়টি নিয়ে হায়দ্রাবাদের দাবিরপুরা পুলিশ স্টেশনে একটি আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করেছে।

অভিযোগে তারা বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের মালিকানাধীন মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি প্রোক্টার অ্যান্ড গ্যাম্বলের পণ্য প্যাম্পার্স মুসলমান কমিউনিটির ‘অনুভূতিতে আঘাত হেনেছে’। তাই যত দ্রুত সম্ভব পণ্যটি বাজার থেকে তুলে নেওয়ার অনুরোধ জানানো হচ্ছে।

প্যাম্পার্সের ডায়াপারঅভিযোগকারীরা বলছেন, ডায়াপারে প্রিন্ট করা কার্টুনের মুখের রেখাগুলো এমনভাবে বসানো হয়েছে যে আরবি বা উর্দুতে লেখা অক্ষরের সঙ্গে মেলালে তা হজরত মুহাম্মদের (সা.) নামের সঙ্গে মিলে যায়।

চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, হজরত মুহাম্মদ (সা.) ‘ইসলাম ধর্মে পবিত্র ব্যক্তিত্ব’ এবং ‘তাকে অসম্মান সহ্য করা হবে না’।

একই সঙ্গে তারা অবমাননাকারীদের গ্রেফতার করে শাস্তি দেওয়ার পাশাপাশি প্যাম্পার্স বর্জনের দাবি জানিয়েছে।  

এ বিষয়ে প্রোক্টার অ্যান্ড গ্যাম্বল কোম্পানির সিনিয়র কমিউনিকেশন ম্যানেজার স্কট পপহাম এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘ফেসবুক ও ইউটিউবের মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্যাম্পার্স নিয়ে ছড়িয়ে পড়া মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য আমার নজরে এসেছে। প্যাম্পার্স বেবি ডায়াপারের ডিজাইনে একটি অ্যানিমেশন করা নিষ্পাপ বিড়ালের ছবি দেখা যাচ্ছে। এতে দেখা যাচ্ছে একটি বিড়ালের মুখ এবং গোঁফ, যেটা বিশ্বব্যাপী সাধারণভাবে অঙ্কিত কার্টুনের মতো, বিশেষ করে বাচ্চারা যেভাবে আঁকে। ’

‘এতে অঙ্কিত ছবির পিছনে অন্য কোনো উদ্দেশ্য নেই। কোনো ব্যক্তিকে অবমাননা করা কিংবা ধর্মীয় বা সাংস্কৃতিক বিশ্বাসে আঘাত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০১৮
এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।