বৃহস্পতিবার (৫ এপ্রিল) রাজধানী ম্যানিলায় প্রেসিডেন্ট ভবনে কৃষক ও কৃষি সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বক্তৃতা করছিলেন ফিলিপিনো প্রেসিডেন্ট।
পশ্চিমাবিরোধী বক্তব্যের কারণে দুতার্তের সমালোচনায় থাকেন ইউরোপ-আমেরিকার নেতারা।
স্বদেশে মাদক নির্মূলাভিযানের জন্য পশ্চিমাদের সমালোচনার শিকার দুতার্তে মিয়ানমারের কর্মকর্তাদের ওপর ক্ষোভ ঝেড়ে বলেন, ‘সেখানে গণহত্যা চলছে। কিন্তু আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এই সমস্যা সমাধানে ব্যর্থ হয়েছে। ’
রোহিঙ্গাদের প্রতি সহানুভূতি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সেখানকার লোকদের প্রতি আমি সমব্যথী। আমি শরণার্থীদের গ্রহণে (আশ্রয় দিতে) আগ্রহী। হ্যাঁ রোহিঙ্গাদের ভাগ করে নেওয়া উচিত ইউরোপকেও। ’
মিয়ানমারের মতো ফিলিপাইনও দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় জাতি সংস্থা আসিয়ানের সদস্য। একই সংস্থাভুক্ত একটি রাষ্ট্রের প্রধানের এই সমালোচনার প্রেক্ষিতে মিয়ানমারের সরকারপ্রধানের মুখপাত্র জ্য তাই বলেছেন, ‘দুতার্তের মন্তব্য সত্যিকারের পরিস্থিতিকে উপস্থাপন করে না। কারণ তিনি মিয়ানমার সম্পর্কে কিছুই জানেন না। তাছাড়া এই লোকের অভ্যাসই হলো বেসামাল কথাবার্তা বলা। ’
গত বছরের আগস্টে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী রাখাইনে রোহিঙ্গা নিধনযজ্ঞ শুরু করলে সেখান থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে থাকে লাখো রোহিঙ্গা। বিভিন্ন সংস্থার তথ্য মতে, মিয়ানমারের বাহিনী রাখাইনে ‘জাতিগত নিধনযজ্ঞ’ চালিয়েছে, যাতে প্রাণ গেছে তিন হাজারেরও বেশি মানুষের। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ পালিয়ে এসেছে ৭ লাখ রোহিঙ্গা, সবমিলিয়ে যে সংখ্যা ১০ লাখেরও বেশি।
আন্তর্জাতিক চাপের মুখে গত নভেম্বরে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী বর্বরোচিত হত্যাযজ্ঞ থামাতে বাধ্য হয়। এরপর রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে বাংলাদেশের সঙ্গে সমঝোতায় পৌঁছালেও এক্ষেত্রে মিয়ানমার গড়িমসি করছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৫, ২০১৮
এইচএ/