গত ২১ মার্চ থেকে ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত সামরিক মহড়াটি হলেও কাতারের সশস্ত্র বাহিনীর অংশগ্রহণের খবরটি বৃহস্পতিবার (১৯ এপ্রিল) এসেছে রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কিউএনএতে। তারা জানায়, মহড়ায় কাতারের সশস্ত্র বাহিনীর নেতৃত্ব দিয়েছেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খামিস মোহাম্মদ ডেবলান।
সামরিক কুচকাওয়াজের পাশাপাশি ‘গালফ শিল্ডে’ কমান্ড সেন্ট্রাল ড্রিল ও ফিল্ড ট্রেইনিং, আগ্নেয়াস্ত্রের মাধ্যমে রেগুলার ও নন-রেগুলার ফায়ারের প্রশিক্ষণও হয়।
কিউএনএ’র প্রতিবেদনে বলা হয়, এই মহড়ায় কাতারের অংশগ্রহণের উদ্দেশ্যে ‘ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও দৃঢ় করা, অভিজ্ঞতা বিনিময় এবং উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদ (জিসিসি), আরব ও ইসলামী দেশগুলোর নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা সংরক্ষণে গৃহীত কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ’।
কিউএনএ জানায়, সৌদির সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অব স্টাফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল ফায়াদ বিন হামেদ আল রুওয়ালির আমন্ত্রণে সামরিক মহড়ার সমাপনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কাতারের সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অব স্টাফ মেজর জেনারেল গানেম বিন শাহীন।
‘সন্ত্রাসবাদে মদদ ও অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের’ অভিযোগ তুলে গত বছরের ৫ জুন সৌদির নেতৃত্বে সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, মিশর, মালদ্বীপ ও ইয়েমেন অবরোধ জারি করে কাতারের ওপর। পারস্য উপসাগর ঘেঁষা দেশটির সীমান্ত কেবল সৌদির সঙ্গেই। তারা কাতারের ওপর আকাশপথে অবরাধের পাশাপাশি সীমান্তও বন্ধ করে দেয়।
অবরোধ তুলে নেওয়ার শর্ত হিসেবে কাতারের সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা বন্ধ, দোহার সঙ্গে আঙ্কারা ও তেহরানের ‘ঘনিষ্ঠতা’ সংকোচনের কথা বলা হলেও তুরস্ক ও ইরান তাদের পাশে দাঁড়ানোয় দোহার নেতৃত্বকে টলানো যায়নি।
অবরোধ জারির সোয়া ১০ মাসের মাথায় এসে পর্যবেক্ষকরা দেখছেন, তা বিফলেই গেছে। যৌথ সামরিক মহড়ায় কাতারের অংশগ্রহণ পর্যবেক্ষকদের বক্তব্যকেই প্রতিষ্ঠিত করছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০১৮
এইচএ/