ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

অনাহারে ৩ সন্তান হারিয়ে মা বললেন ‘খাবার দিন’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৫৩ ঘণ্টা, জুলাই ২৬, ২০১৮
অনাহারে ৩ সন্তান হারিয়ে মা বললেন ‘খাবার দিন’ ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য থেকে ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য রাজধানী দিল্লিতে পাড়ি জমিয়েছিলো একটি পরিবার। ভাগ্যের তো পরিবর্তন হয়ই-নি বরং ঝরে গেছে পরিবারের আদুরে মুখগুলো। টানা আটদিন অনাহারে থেকে জীবনকে বিদায় জানিয়েছে পরিবারটির তিনটি শিশু। 

মঙ্গলবার (২৪ জুলাই) দিল্লির একটি হাসপাতালে অসহায় মা তিন শিশুকে নিয়ে এলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।  

শিশু তিনটির বয়স আট বছর, চার বছর ও দুই বছর।

কীভাবে মারা গেলো শিশু তিনটি? প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অসহায় মাকে এমন প্রশ্ন করেছিল পুলিশ। তিনি নিস্তেজ গলায় বিড়বিড় করে উত্তর দিয়েছেন, ‘আমাকে খাবার দিন’।  

প্রাথমিক পরীক্ষায় সত্যতাও পেয়েছেন চিকিৎসকরা। তারা বলছেন, ওই তিন বোন অনাহারে ছিল। এ কারণেই তাদের মৃত্যু হয়েছে। তারা আটদিন ধরে কিছুই খায়নি।  

লাল বাহাদুর শাস্ত্রী হাসপাতালের অমিতা সাজেনা বলেন, তাদের শরীরে কোনো ফ্যাটের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী তাদের পাকস্থলী একেবারেই খালি ছিল। অপুষ্টির কারণে এমনটি ঘটেছে।  

আর এক চিকিৎসক বলেন, আমার চিকিৎসা পেশার ১৫ বছরে এমন ঘটনা আগে দেখিনি।  

ওই পরিবারের প্রতিবেশীরা বলেন, পরিবারটি পশ্চিমবঙ্গ থেকে দিল্লির মান্দাওয়ালিতে আসেন। নিহত শিশুদের বাবা রিকশা চালাতেন। তাকে এখন খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।  

আর এক প্রতিবেশী বলেন, শিশুগুলোর বাবা কাজ খুঁজতে গিয়েছেন। তিনি কিছুদিনের মধ্যেই ফিরে আসবেন।  

পুলিশ বলছে, নিহত শিশুদের মাকে মানসিকভাবে অসুস্থ মনে হচ্ছে।  

ফরেনসিক টিম বলছে, তারা আট দিন ধরে ঘরের ভেতর অবরুদ্ধ ছিল। ঘরে ওষুধের বোতল, ডায়রিয়ার ট্যাবলেট পাওয়া গেছে।  

ছোট বোন দু’টি কিছুদিন ধরে অসুস্থ ছিল। তাদের ডায়রিয়াও হয়। তবে বড় বোনটি অসুস্থ ছিল কিনা এটা স্পষ্ট নয়।  

বিজেপি ও কংগ্রেস নেতারা ওই পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎও করেছেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৩ ঘণ্টা, জুলাই ২৬, ২০১৮
এএইচ/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।