চীন গত ২০ মে সেমিনারি অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত চার খ্রিস্টান যাজক ও তিন পশুপালক যাজককে আটক করেছে। তারা সভা ডেকে মানুষের মগজধোলাই করছিলেন বলে অভিযোগ তোলা হয়েছে।
নিউ ইয়র্ক টাইমস পোস্ট জানিয়েছে, খ্রিস্টানদের ওপর নির্যাতনের বিষয়টি পর্যবেক্ষণকারী ইন্টারন্যাশনাল ক্রিশ্চিয়ান কনসার্ন (আইসিসি) এই ঘটনার কথা জানিয়েছে। শাহেকিয়াও শহরে সংঘটিত এই অভিযানে দশ ছাত্রকেও আটক করা হয়েছে।
চীনা কর্তৃপক্ষ জিনজিয়াং-এর বিশপ জুসেপে ঝাং ওয়েইঝুকে আটক করেছে। তিনি ১৯৯১ সাল থেকে ৩০ বছর ধরে জিনজিয়াং ডায়োসিস পরিচালনা করেছিলেন।
গ্রেপ্তারকৃতদের একটি হোটেলে নির্জন কারাগারে রাখা হয়েছিল।
নিউ ইয়র্ক টাইমস পোস্ট জানিয়েছে, আইসিসির মতে, তাদের খ্রিস্টান ধর্মতত্ত্বের অধ্যয়ন বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
১ মে ধর্মীয় কর্মকাণ্ডের ওপর চীনের নতুন নিয়মকানুন, ধর্মীয় আচরণের জন্য একগুচ্ছ কঠোর নিয়ম কার্যকর হয়। এই দেশের ক্যাথলিক পাদরিদের অবশ্যই চীনা ক্যাথলিক বিশপ সম্মেলন দ্বারা অনুমোদিত হতে হবে, যা রাষ্ট্র অনুমোদিত। তাদের চীনা কমিউনিস্ট পার্টির (সিসিপি) নেতৃত্বকে সমর্থন করতে হবে। আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদিত না হয়ে প্রচার চালানোর জন্য বিশপ ওয়েইঝু এবং যাজকদের ‘অপরাধী’ হিসেবে আটক করা হয়েছে।
আইসিসির মতে, নতুন নিয়মাবলী কার্যকর হওয়ার পর থেকে খ্রিস্টানদের ওপর নির্যাতন বৃদ্ধি পেয়েছে।
পশ্চিম চীনে এক মিলিয়ন উইগুর এবং অন্যান্য মুসলিম সংখ্যালঘুদের পুনঃশিক্ষা শিবিরে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ আছে। সেখানে নির্যাতন, ধর্ষণ এবং জোর পূর্বক শ্রমসহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের গুরুতর খবর পাওয়া গেছে। তবে চীনা সরকার এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে আসছে।
চীন আনুষ্ঠানিকভাবে একটি নাস্তিক দেশ এবং শাসকরা সংগঠিত ধর্মকে সন্দেহের সাথে বিবেচনা করে। যারা শাসকদের কাছে বশ্যতা স্বীকার করে না তাদেরই নির্যাতনের মাধ্যমে দমন করা হয়।
সরকারিভাবে চীন পাঁচটি ধর্মকে স্বীকৃতি দেয়। এগুলো হলো, বৌদ্ধ ধর্ম, ক্যাথলিক ধর্ম, প্রোটেস্ট্যান্ট ধর্ম, ইসলাম ও তাওধর্ম। সূত্র: এএনআই
বাংলাদেশ সময়: ২১৩২ ঘণ্টা, মে ৩১, ২০২১
নিউজ ডেস্ক