ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তরাঞ্চলে বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গের আবহাওয়া অফিস বলছে, দক্ষিণবঙ্গে সেটা আসতে এখনো কিছু দিন বাকি রয়েছে।
সোমবার (৭ জুন) পশ্চিমবঙ্গের ৫ জেলায় বজ্রপাতে মৃত্যু হয়েছে ২৬ জনের। কিন্তু কেন বজ্রপাতের পরিমাণ এত বাড়ছে? আবহাওয়ার কোনো বদল, না কী তার সঙ্গে জুড়ে রয়েছে পরিবেশের কোনো বদলও? সাধারণত কিউমুলোনিম্বাস মেঘ থেকে বজ্রপাত ও বৃষ্টি হয়। সে কারণে এই মেঘকে বজ্রগর্ভ মেঘও বলা হয়ে থাকে। গত কয়েক বছর ধরে এপ্রিল-মে মাসে পশ্চিমবঙ্গে এই বজ্রগর্ভ মেঘের পরিমাণ বেড়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তার একটা অন্যতম কারণ বাতাসে জলীয় বাষ্পের আধিক্য। এছাড়া তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার ফলেও এমন হচ্ছে। এই তাপমাত্রা বাড়ার সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত রয়েছে দূষণ। দূষণের মাত্রা যত বাড়ছে, গড় তাপমাত্রা তত বাড়ছে। এর ফলে বজ্রগর্ভ মেঘ তৈরি হওয়ার আদর্শ পরিবেশ তৈরি হচ্ছে।
কিছুদিন আগেই উড়িষ্যা উপকূলে আছড়ে পড়ে অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’। এ ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব সরাসরি পশ্চিমবঙ্গে ততটা না পড়লেও এই ঘূর্ণিঝড়ের ফলে বঙ্গোপসাগর থেকে প্রচুর পরিমাণে জলীয় বাষ্প ঢুকেছে রাজ্যে। একইসঙ্গে মে মাস থেকেই পশ্চিমবঙ্গে তাপমাত্রা বেড়েছে। সকাল ও দুপুরের দিকে তীব্র গরম। সব মিলিয়ে স্থানীয় বজ্রগর্ভ মেঘ তৈরি হওয়ার আদর্শ পরিবেশ। আর তার ফলেই প্রায় প্রতিদিন বিকেলের পরে শুরু হচ্ছে বজ্রপাতসহ বৃষ্টি।
মঙ্গলবার (৮ জুন) এ খবর প্রকাশ করেছে আনন্দবাজার পত্রিকা।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩২ ঘণ্টা, জুন ০৮, ২০২১
এএটি