গণতন্ত্রপন্থী সংবাদপত্র অ্যাপল ডেইলির ওপর হামলাকে বাক স্বাধীনতা লঙ্ঘন হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে এবং এটি প্রচার মাধ্যমের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক চীনা আক্রমণের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
হংকংয়ের অ্যাপল ডেইলি সংবাদপত্রটি গত ২০ জুন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
এরইমধ্যে হংকংয়ের রেডিও-টেলিভিশনগুলো নেতৃত্ব পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছে, যাতে তাদের সংবাদ সরকারি বক্তব্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য পূর্ণ হয়।
পুলিশের অসদাচরণের নিয়ে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন করায় একজন সাংবাদিককে গ্রেফতার করা হয়েছিল।
এদিকে, বিদেশি গণমাধ্যম সংস্থাগুলো তাদের সংবাদদাতাদের জন্য ভিসা পেতে সমস্যায় পড়েছে। বেইজিং-আরোপিত জাতীয় নিরাপত্তা আইনের অধীনে, চীনা কর্তৃপক্ষ হংকং-এ স্বাধীন প্রচার মাধ্যমের গলা চেপে ধরা এবং বাক ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা রহিত করার জন্য মুখিয়ে আছে।
তবে হংকং কর্মকর্তারা যুক্তি দেখান যে সাংবাদিকতা সমস্যা নয়। হংকং সরকারের প্রধান ক্যারি ল্যাম জোর দিয়ে বলেছেন, এই আইন "স্বাভাবিক সাংবাদিকতাকে" প্রভাবিত করবে না।
অ্যাপল ডেইলি বন্ধ করা কেবল সময়ের ব্যাপার ছিল। এর প্রতিষ্ঠাতা জিমি লাই এক বছর আগে নিউ ইয়র্ক টাইমসের একটি মতামত নিবন্ধে তার নিজের গ্রেপ্তারের আশঙ্কা ব্যক্ত করেছিলেন। তিনি হংকংয়ে চিন্তা ভাবনা এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতা ক্রমাগত সঙ্কুচিত হওয়া নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছিলেন।
জাপান টাইমস একটি সম্পাদকীয় অংশে লিখেছে, লাই, অন্যান্য জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও সম্পাদকদের গ্রেফতার এবং পত্রিকা বন্ধ করে দেওয়া কেবল হংকং-এর একটি যুগের সমাপ্তির ইঙ্গিত দেয় না, বরং সমস্ত বিশ্বকে চীনা নেতৃত্বের প্রবৃত্তি এবং উচ্চাকাঙ্ক্ষা প্রদর্শন করে। চীন তার সমালোচকদের যে কোন উপায়ে চুপ করিয়ে দেবে।
বাংরাদেশ সময়: ২১৩২ ঘণ্টা, জুলাই ০৯, ২০২১
নিউজ ডেস্ক