ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

আফগানিস্তানে তালেবানের নেতৃত্বে যারা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১৫, ২০২১
আফগানিস্তানে তালেবানের নেতৃত্বে যারা

১৯৯৪ সালে গৃহযুদ্ধরত একটি দল হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিল তালেবান। তাদের মূল নেতা ছিলেন মোল্লা ওমর।

২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর আমেরিকায় হামলার ঘটনার পর ওসামা বিন লাদেনকে আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করা হয় তাকে। এরপর থেকে পশ্চিমা সমর্থিত সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করে আসছে তালেবানরা।

প্রায় দুই দশক পর আবারও ক্ষমতায় ফিরছে তালেবান। আফগান সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করা দীর্ঘমেয়াদি রক্তক্ষয়ী লড়াইয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন ছয় তালেবান নেতা। জেনে নেওয়া যাক তাদের ব্যাপারে:

হায়বাতুল্লাহ আখুনজাদা
বিশ্বস্ত নেতা হিসাবে পরিচিত হায়বাতুল্লাহ আখুনজাদা। ইসলামি আইনের পণ্ডিত তিনি। তালেবানের রাজনৈতিক, ধর্মীয় ও সামরিক বিষয়ে চূড়ান্ত কর্তৃত্ব রাখেন এই নেতা। ২০১৬ সালে আফগানিস্তান ও পাকিস্তান সীমান্তের কাছে মার্কিন ড্রোন হামলায় নিহত হন তার পূর্বসূরি আখতার মনসুর। এরপরই দায়িত্ব নেন আখুনজাদা।

তার সহযোগী এবং ছাত্ররা জানিয়েছেন, ২০১৬ সালের মে মাসে হঠাৎ করে নিখোঁজ হন আখুনজাদা। এর আগ পর্যন্ত দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে দক্ষিণ-পশ্চিম পাকিস্তানের কুচলাকের একটি মসজিদে শিক্ষকতা করেছিলেন তিনি। তার অবস্থান এখনো জানা যায়নি। তার বয়স প্রায় ৬০ বছর।

মোল্লা মোহাম্মদ ইয়াকুব
তালেবান প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা ওমরের পুত্র ইয়াকুব। তিনি দলের সামরিক অভিযানের তদারকি করেন।

স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইয়াকুব আফগানিস্তানের ভেতরে আছেন। উত্তরাধিকার সূত্রে বিভিন্ন আন্দোলনের সার্বিক নেতা হিসেবে প্রস্তাব করা হয়েছিল তাকে। কিন্তু তিনি আখুনজাদাকে সামনে রেখেছিলেন। কারণ তিনি মনে করেছিলেন তার বয়স কম এবং যুদ্ধক্ষেত্রে তার অভিজ্ঞতার অভাব রয়েছে।

সিরাজউদ্দিন হাক্কানি
বিশিষ্ট মুজাহিদিন কমান্ডার জালালুদ্দীন হাক্কানীর পুত্র সিরাজউদ্দিন। তিনি তালেবান নেটওয়ার্কের নেতৃত্ব দেন।

পাকিস্তান-আফগানিস্তান সীমান্তে তালেবানের আর্থিক ও সামরিক সম্পদের তদারকি করেন সিরাজউদ্দিন। তবে তার অবস্থান অজানা। হাক্কানির বয়স ৪০ বা ৫০ বছর।

মোল্লা আবদুল গনি বরদার
তালেবানের অন্যতম সহ-প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা আবদুল গনি বরদার। তিনি এখন দলটির রাজনৈতিক কার্যালয়ের প্রধান। কাতারের দোহায় শান্তি আলোচনায় অংশ নেন তিনি। আফগানিস্তানের নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবেও আলোচনায় আসছে তার নাম।

বরদার মোল্লা ওমরের সবচেয়ে বিশ্বস্ত কমান্ডারদের একজন বলে জানা গেছে। ২০১০ সালে পাকিস্তানের করাচি শহরে নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে ধরা পড়েন তিনি। ২০১৮ সালে মুক্তি পান।

শের মোহাম্মদ আব্বাস স্তানিকজাই
তালেবান সরকারের একজন সাবেক উপমন্ত্রী। অপসারণের আগে তিনি প্রায় এক দশক ধরে দোহায় বসবাস করেছেন।

২০১৫ সালে তালেবানের রাজনৈতিক কার্যালয়ের প্রধান হয়েছিলেন। তিনি আফগানিস্তান সরকারের সাথে আলোচনায় অংশ নিয়েছেন। প্রতিনিধিত্ব করেছেন বেশ কয়েকটি দেশে কূটনৈতিক ভ্রমণে।
 
আব্দুল হাকিম হাক্কানি
তালেবানের আলোচক দলের প্রধান আব্দুল হাকিম হাক্কানি। তালেবানের সাবেক ছায়া প্রধান বিচারপতি।

ধারণা করা হয়, আখুনজাদা তাকে সবচেয়ে বেশি বিশ্বাস করেন।

বাংলাদেশ সময়: ২১২০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৫, ২০২১
এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।