ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

কারিগরি সমস্যায় ‘গ্রাউন্ডেড’ মিয়ানমারের জেএফ-১৭ যুদ্ধবিমান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০২২
কারিগরি সমস্যায় ‘গ্রাউন্ডেড’ মিয়ানমারের জেএফ-১৭ যুদ্ধবিমান সম্প্রতি পাকিস্তান ও চীনের তৈরি এ যুদ্ধবিমানগুলো নিজেদের বহরে যুক্ত করে মিয়ানমার

কারিগরি ত্রুটির কারণে মিয়ানমারের জেএফ-১৭ যুদ্ধবিমানের বেশিরভাগই গ্রাউন্ডেড হয়ে আছে। সম্প্রতি পাকিস্তান ও চীনের যৌথভাবে তৈরি করা এ যুদ্ধবিমানগুলো নিজেদের বহরে যুক্ত করে দেশটি।

মিয়ানমার বিমান বাহিনীর সাবেক পাইলট যারা কিনা জান্তার বিমান সক্ষমতা নিরীক্ষণ করেন তারা এসব তথ্য জানিয়েছেন।

জান্তার বিমান সক্ষমতা নিরীক্ষণকারী কর্মকর্তারা বলেন, যেসব বাধা, স্থল আক্রমণ এবং বোমাবর্ষণ মিশনে সক্ষম বলে মনে করা হত, যুদ্ধবিমানগুলো সে কাজে অযোগ্য বলে প্রমাণিত হয়েছে। এছাড়া যুদ্ধবিমানগুলোর সমস্যা সমাধানে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর প্রযুক্তিগত দক্ষতার অভাব রয়েছে।

মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যম ইরাবতি জানিয়েছে, ২০১৬ সালের প্রথম দিকে চীন থেকে ২৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ে ১৬টি জেএফ-১৭ যুদ্ধবিমানে কেনার চুক্তি করেছিল মিয়ানমার। চুক্তিমতে ২০১৮ সালে ছয়টি বিমানের প্রথম ব্যাচ মিয়ানমারের বিমান বাহিনীকে দেওয়া হয়েছিল। তবে বাকি ১০টির খবর এখনও পরিষ্কার নয়।

পাকিস্তান অ্যারোনটিক্যাল কমপ্লেক্স এবং চীনের চেংডু অ্যারোস্পেস কর্পোরেশন প্রাথমিকভাবে জেএফ-১৭ এর ডিজাইন ভারতের বিমান বাহিনীর সঙ্গে পাল্লা দেওয়ার জন্য করেছিল। ওয়েস্টার্ন অ্যাভিওনিক্স ও রাশিয়ান ক্লিমভ আরডি ৯৩ এরোইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়েছিল যুদ্ধবিমানটিতে। এটি এয়ার-টু-এয়ার মিড-রেঞ্জ গাইডেড মিসাইল, ৮০ এমএম ও ২৪০ এমএম রকেট এবং ৫০০ পাউন্ড বোমা দিয়ে সজ্জিত হতে পারে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, জেএফ এভিওনিক্সের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো চীনের তৈরি কেএলজ-৭ এএল রাডার। রাডারটির নির্ভুলতা যাচাই এবং রক্ষণাবেক্ষণের সমস্যা রয়েছে। এমনকি এই যুদ্ধবিমানে বিয়ন্ড-ভিজ্যুয়াল-রেঞ্জ (বিভর) মিসাইল বা এয়ারবর্ন ইন্টারসেপশন রাডারও নেই।

এদিকে মিয়ানমারের সামরিক ও অস্ত্র ব্যবসায়ীদের ওপর ইউরোপীয় ইউনিয়ন নিষেধাজ্ঞা থাকায় জেএফ-১৭ এর খুচরা যন্ত্রাংশ বাজারে নেই। যা খুবই ভয়াবহ একটি সমস্যা। বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা থাকায় জেএফ-১৭ এর জন্য ক্ষেপণাস্ত্র ও বোমা কেনা অসম্ভব।

এছাড়া সাবেক পাইলটদের মতে, জেএফ-১৭ এর অস্ত্র ব্যবস্থা মিয়ানমারের পাইলটদের পক্ষে পরিচালনা করা খুবই জটিল। যার কারণে মিয়ানমারের বিমান বাহিনী কমিশন করার চার বছর পরও এই যুদ্ধবিমানগুলো ব্যবহার করতে পারছে না। যার কারণে দেশটিকে রাশিয়ার তৈরি ইয়াক-১৩০ এবং মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান এবং চীনের তৈরি কে-৮ ফাইটারের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০২২ 
এমএইচএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।